9. কাজেই যিহোরাম তাঁর সেনাপতিদের ও সব রথ নিয়ে সেখানে গেলেন। ইদোমীয়েরা তাঁকে ও তাঁর রথের সেনাপতিদের ঘেরাও করল, কিন্তু তিনি রাতের বেলায় উঠে ঘেরাও ভেংগে বেরিয়ে গেলেন।
10. ইদোম আজও যিহূদার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে আছে। যিহোরাম তাঁর পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ত্যাগ করেছিলেন বলে একই সময়ে লিব্নাও বিদ্রোহ করল।
11. তিনি যিহূদার পাহাড়গুলোর উপরে পূজার উঁচু স্থান তৈরী করালেন এবং তাঁর জন্য যিরূশালেমের লোকেরা প্রতিমা পূজায় নিজেদের বিকিয়ে দিল আর যিহূদার লোকেরা বিপথে চলে গেল।
14. কাজেই সদাপ্রভু এখন তোমার লোকদের, তোমার ছেলেদের ও তোমার স্ত্রীদের উপর ভয়ংকর আঘাত করবেন এবং তোমার সমস্ত সম্পত্তি ধ্বংস করবেন।
15. তুমি নিজেও পেটের অসুখে ভুগতে থাকবে আর সেই অসুখে তোমার নাড়িভূঁড়ি বের হয়ে আসবে।’ ”
16. সদাপ্রভু যিহোরামের বিরুদ্ধে পলেষ্টীয়দের এবং কূশীয়দের কাছে বাস করা আরবীয়দের মনে শত্রুতার ভাব জাগিয়ে তুললেন।
17. তারা যিহূদা আক্রমণ করে সেখানে ঢুকে রাজবাড়ীর সব জিনিসপত্র এবং যিহোরামের ছেলেদের ও স্ত্রীদের নিয়ে গেল। তাঁর ছোট ছেলে অহসিয় (যিহোয়াহস) ছাড়া আর কোন ছেলে তাঁর কাছে রইল না।
18. এই সমস্ত ঘটনার পরে সদাপ্রভু যিহোরামকে এমন পেটের অসুখ দিলেন যা ভাল করা যায় না।
19. পরে দ্বিতীয় বছরের শেষে সেই রোগের দরুন তাঁর নাড়িভূঁড়ি বের হয়ে আসল এবং তিনি খুব যন্ত্রণা পেয়ে মারা গেলেন। লোকেরা তাঁর পূর্বপুরুষদের সম্মান দেখাবার জন্য যেমন আগুন জ্বালাত তাঁর বেলায় তা করল না।
20. যিহোরাম বত্রিশ বছর বয়সে রাজা হয়েছিলেন এবং আট বছর যিরূশালেমে রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে কেউ দুঃখ প্রকাশ করে নি। দায়ূদ-শহরে তাঁকে কবর দেওয়া হয়েছিল কিন্তু রাজাদের কবরস্থানে তাঁকে কবর দেওয়া হয় নি।