2-3. কয়েক বছর পরে আহাবের সংগে দেখা করবার জন্য তিনি শমরিয়াতে গেলেন। আহাব তাঁর ও তাঁর সংগের লোকদের খাওয়াবার জন্য অনেক ভেড়া ও গরু কাটলেন। ইস্রায়েলের রাজা আহাব যিহূদার রাজা যিহোশাফটকে তাঁর সংগে রামোৎ-গিলিয়দ আক্রমণ করতে যাবার জন্য এই বলে অনুরোধ করলেন, “রামোৎ-গিলিয়দের বিরুদ্ধে আপনি কি আমার সংগে যাবেন?”উত্তরে যিহোশাফট বললেন, “আমি ও আপনি, আমার লোক ও আপনার লোক সবাই এক; আমরা আপনার সংগে যুদ্ধে যোগ দেব।”
14. মীখায় আসলে পর রাজা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “মীখায়, আমরা কি রামোৎ-গিলিয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যাব, না যাব না?”উত্তরে মীখায় বললেন, “হ্যাঁ, যান যান, আক্রমণ করে জয়লাভ করুন, কারণ সেখানকার লোকদের আপনাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।”
15. রাজা তাঁকে বললেন, “কতবার আমি তোমাকে এই শপথ করতে বলব যে, সদাপ্রভুর নামে তুমি সত্যি কথা ছাড়া আর কিছু বলবে না?”
16. উত্তরে মীখায় বললেন, “আমি দেখলাম, ইস্রায়েলীয়েরা সবাই রাখালহীন ভেড়ার মত পাহাড়ের উপরে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই সদাপ্রভু বললেন, ‘এদের কোন মনিব নেই, কাজেই তারা শান্তিতে যে যার বাড়ীতে চলে যাক।’ ”
17. তখন ইস্রায়েলের রাজা যিহোশাফটকে বললেন, “আমি কি আপনাকে আগেই বলি নি যে, সে আমার সম্বন্ধে অমংগল ছাড়া মংগলের কথা বলবে না?”
18. মীখায় বলতে লাগলেন, “তাহলে আপনারা সদাপ্রভুর কথা শুনুন। আমি দেখলাম, সদাপ্রভু তাঁর সিংহাসনে বসে আছেন এবং তাঁর ডান ও বাঁ দিকে সমস্ত স্বর্গদূতেরা রয়েছেন।
19. তখন সদাপ্রভু বললেন, ‘রামোৎ-গিলিয়দ আক্রমণ করবার জন্য কে ইস্রায়েলের রাজা আহাবকে ভুলিয়ে সেখানে নিয়ে যাবে যাতে সে মারা যায়?’ তখন এক একজন এক এক কথা বললেন।
20. শেষে একটি আত্মা এগিয়ে এসে সদাপ্রভুর সামনে দাঁড়িয়ে বলল, ‘আমি তাকে ভুলিয়ে নিয়ে যাব।’ সদাপ্রভু জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কেমন করে করবে?’
21. সে বলল, ‘আমি গিয়ে তার সব নবীদের মুখে মিথ্যা বলবার আত্মা হব।’ সদাপ্রভু বললেন, ‘তুমিই তাকে ভুলিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। তুমি গিয়ে তা-ই কর।’
22. এইজন্যই সদাপ্রভু এখন আপনার এই নবীদের মুখে মিথ্যা বলবার আত্মা দিয়েছেন। আপনার সর্বনাশ হবার জন্য সদাপ্রভু রায় দিয়েছেন।”
23. তখন কনানার ছেলে সিদিকিয় গিয়ে মীখায়ের গালে চড় মেরে বলল, “সদাপ্রভুর আত্মা তোর সংগে কথা বলবার জন্য আমার কাছ থেকে বেরিয়ে কোন্ পথে গিয়েছিলেন?”
24. উত্তরে মীখায় বললেন, “তুমি সেই দিন তা জানতে পারবে যেদিন তুমি নিজেকে লুকাবার জন্য ভিতরের ঘরে গিয়ে ঢুকবে।”
25. ইস্রায়েলের রাজা তখন এই হুকুম দিলেন, “মীখায়কে শহরের শাসনকর্তা আমোন ও রাজপুত্র যোয়াশের কাছে আবার পাঠিয়ে দাও।
26. তাদের বল রাজা বলেছেন এই লোকটিকে যেন জেলে রাখা হয় এবং রাজা নিরাপদে ফিরে না আসা পর্যন্ত তাকে অল্প জল ও অল্প রুটি ছাড়া আর কিছু না দেওয়া হয়।”
27. তখন মীখায় বললেন, “যদি আপনি সত্যিই নিরাপদে ফিরে আসেন তবে জানবেন সদাপ্রভু আমার মধ্য দিয়ে কথা বলেন নি।” তারপর তিনি আবার বললেন, “আপনারা সবাই আমার কথাটা শুনে রাখুন।”
28. এর পরে ইস্রায়েলের রাজা আহাব ও যিহূদার রাজা যিহোশাফট রামোৎ-গিলিয়দ আক্রমণ করতে গেলেন।
29. আহাব যিহোশাফটকে বললেন, “আমাকে যাতে লোকেরা চিনতে না পারে সেইজন্য আমি অন্য পোশাক পরে যুদ্ধে যোগ দেব, কিন্তু আপনি আপনার রাজপোশাকই পরুন।” এই বলে ইস্রায়েলের রাজা অন্য পোশাক পরে যুদ্ধ করতে গেলেন।
30. অরামের রাজা তাঁর রথগুলোর সেনাপতিদের এই আদেশ দিয়ে রেখেছিলেন, “একমাত্র ইস্রায়েলের রাজা ছাড়া আপনারা ছোট কি বড় আর কারও সংগে যুদ্ধ করবেন না।”
31. রথের সেনাপতিরা যিহোশাফটকে দেখে ভেবেছিলেন যে, তিনি নিশ্চয়ই ইস্রায়েলের রাজা। কাজেই তাঁরা ফিরে তাঁকে আক্রমণ করতে গেলেন কিন্তু যিহোশাফট চেঁচিয়ে উঠলেন, তখন সদাপ্রভু ঈশ্বর তাঁকে সাহায্য করলেন আর তাতে তাঁরা তাঁর কাছ থেকে চলে গেলেন।
32. এতে সেনাপতিরা বুঝলেন যে, তিনি ইস্রায়েলের রাজা নন, সেইজন্য তাঁরা আর তাঁর পিছনে তাড়া করলেন না।