11. প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় পুরোহিতেরা সদাপ্রভুর উদ্দেশে পোড়ানো-উৎসর্গের অনুষ্ঠান করেন ও সুগন্ধি ধূপ জ্বালান। তাঁরা শুচি করা টেবিলের উপর সম্মুখ-রূটি সাজিয়ে রাখেন এবং প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলায় সোনার বাতিদানের উপর বাতিগুলো জ্বালিয়ে দেন। আমরা আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে কাজ করি, কিন্তু আপনারা তাঁকে ত্যাগ করেছেন।
12. ঈশ্বর আমাদের সংগে আছেন; তিনিই আমাদের নেতা। তাঁর পুরোহিতেরা তাঁদের তূরী বাজিয়ে আপনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডাক দেবার জন্য আমাদের সংগে আছেন। হে ইস্রায়েলের লোকেরা, আপনাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে আপনারা যুদ্ধ করবেন না, কারণ তাতে আপনারা সফল হবেন না।”
13. যারবিয়াম গোপনে যিহূদার সৈন্যদের পিছনের দিকে একদল সৈন্য পাঠিয়ে দিলেন; তাতে তাঁর একদল সৈন্য যিহূদার সামনের দিকে আর একদল সৈন্য যিহূদার পিছন দিকে রইল।
14-15. যিহূদার লোকেরা ফিরে দেখতে পেল যে, তাদের সামনে ও পিছনে দু’দিকে সৈন্য। তখন তারা সদাপ্রভুর কাছে কান্নাকাটি করল। পুরোহিতেরা তাঁদের তূরী বাজালেন আর যিহূদার লোকেরা যুদ্ধের হাঁক দিল। তারা যখন যুদ্ধের হাঁক দিল তখন অবিয় ও যিহূদার লোকদের সামনে থেকে ঈশ্বর যারবিয়াম ও সমস্ত ইস্রায়েলকে সম্পূর্ণভাবে পরাজিত করলেন।
16. যিহূদার সামনে থেকে ইস্রায়েলীয়েরা পালিয়ে যেতে লাগল আর ঈশ্বর তাদের যিহূদার লোকদের হাতে তুলে দিলেন।
17. অবিয় ও তাঁর লোকেরা অনেক লোককে মেরে ফেললেন। এতে ইস্রায়েলীয়দের বাছাই-করা লোকদের মধ্য থেকে পাঁচ লক্ষ লোক মারা পড়ল।
18. এইভাবে ইস্রায়েলের লোকেরা হেরে গেল, আর যিহূদার লোকেরা জয়ী হল, কারণ তারা তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উপর নির্ভর করেছিল।
19. অবিয় যারবিয়ামের পিছনে তাড়া করে গিয়ে তাঁর হাত থেকে বৈথেল, যিশানা ও ইফ্রোণ এবং সেগুলোর আশেপাশের জায়গাগুলো দখল করে নিলেন।
20. অবিয়ের সময়ে যারবিয়াম আর শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারেন নি। পরে সদাপ্রভু তাঁকে আঘাত করলে পর তিনি মারা গেলেন।
21. এদিকে অবিয় শক্তিশালী হয়ে উঠতে লাগলেন। তাঁর চৌদ্দজন স্ত্রী এবং বাইশজন ছেলে ও ষোলজন মেয়ে ছিল।