11. অথচ স্বর্গদুতেরা শক্তি ও ক্ষমতায় মহান হলেও প্রভুর কাছে তাঁদের সম্বন্ধে এমন কোন নালিশ করেন না যাতে নিন্দার কথা আছে।
12. কিন্তু যে বুদ্ধিহীন জীব-জানোয়ারেরা তাদের স্বাভাবিক ইচ্ছার অধীন এবং ধরে মেরে ফেলবার জন্যই যাদের জন্ম, এই ভণ্ড শিক্ষকেরা তাদেরই মত। তারা যা বোঝে না তার সম্বন্ধে খারাপ কথা বলে। নিজেদের নোংরামির মধ্যেই তারা ধ্বংস হয়ে যাবে।
13. তাদের খারাপ কাজের পাওনা হিসাবে তারা কষ্ট ভোগ করবে। এই লোকেরা দিনের বেলায় ভোজ সভায় হৈ-হল্লা করে মদ খেতে আনন্দ পায়। যখন তারা তোমাদের সংগে খেতে বসে তখন হৈ-হল্লা করে মদ খেতে খেতে তাদের কামনায় তারা সেই খাওয়া-দাওয়ার মধ্যে লজ্জা ও অসম্মান আনে।
14. তাদের চোখ ব্যভিচারে ভরা এবং তারা পাপ কাজ করা কখনও বন্ধ করে না। যারা অস্থিরমনা তাদের তারা লোভ দেখিয়ে ভুল পথে নিয়ে যায়। তাদের অন্তর কেবল লোভ করতেই শিখেছে। তাদের উপর অভিশাপ রয়েছে। তারা সোজা পথ ছেড়ে ভুল পথে গেছে।
15. তারা বিয়োরের ছেলে বিলিয়মের পথ ধরেছে। বিলিয়ম মন্দ কাজের পুরস্কার পেতে চেয়েছিল,
16. কিন্তু তার মন্দ কাজের জন্য সে একটা বোবা গাধার কাছ থেকে ধমক্ খেয়েছিল। সেই গাধা মানুষের মত কথা বলে তার পাগলামিতে বাধা দিয়েছিল।
17. এই লোকেরা শুকিয়ে যাওয়া ফোয়ারার মত এবং ঝোড়ো হাওয়ায় বয়ে নিয়ে যাওয়া কুয়াশার মত। ভীষণ অন্ধকার তাদের জন্য জমা করে রাখা হয়েছে।
18. তারা অসার ও বড় বড় কথা বলে এবং মানুষের পাপ-স্বভাবের কামনাপূর্ণ ইচ্ছা জাগিয়ে তুলে তারা এমন লোকদের ভুল পথে নিয়ে যায় যারা অন্যায়ের মধ্যে বাসকারী লোকদের মধ্য থেকে বের হয়ে আসবার পথে ছিল।
19. সেই ভণ্ড শিক্ষকেরা সেই লোকদের স্বাধীনতা দেবার প্রতিজ্ঞা করে বটে, কিন্তু নিজেরা জঘন্য কাজের দাস হয়ে থাকে; কারণ কেউ যদি কোন কিছুর কাছে হার মানে তবে সে তার দাস হয়।
20. আমাদের প্রভু ও উদ্ধারকর্তা যীশু খ্রীষ্টকে গভীর ভাবে জানবার ফলে জগতের মন্দতা থেকে পালিয়ে গিয়েও যখন তারা আবার সেই একই মন্দের মধ্যে জড়িয়ে পড়ে তার কাছে হার মেনেছে, তখন তাদের প্রথম দশা থেকে শেষ দশা আরও খারাপ হয়েছে।
21. যদিও তারা সৎ জীবনের পথ জানত তবুও যে পবিত্র আদেশ তাদের দেওয়া হয়েছিল তা তারা অগ্রাহ্য করেছিল। এই অবস্থায় তাদের পক্ষে বরং ঠিক পথ না জানাই ভাল ছিল।
22. তাদের সম্বন্ধে এই চলতি কথা সত্যি হয়ে উঠেছে, “কুকুর নিজের বমির দিকে ফেরে,” আর “শূকরকে ধোওয়ানো হলেও সে কাদায় গড়াগড়ি দেয়।”