8. যদি তোমাদের এই সব গুণ থাকে এবং তা উপ্চে পড়তে থাকে, তাহলে আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে গভীর ভাবে জানবার কাজে তোমরা বিফল ও নিষ্ফল হবে না।
9. যে লোকের ভিতরে এই গুণগুলো নেই সে বেশী দূর দেখতে পায় না, সে অন্ধ। তাকে যে তার আগেকার পাপ থেকে শুচি করা হয়েছে তা সে ভুলে গেছে।
10. এইজন্য ভাইয়েরা, ঈশ্বর যে সত্যিই তোমাদের ডেকেছেন এবং বেছে নিয়েছেন তা নিশ্চিত করে তুলবার জন্য আরও বেশী আগ্রহী হও। এই সব করলে তোমরা কখনও উছোট খাবে না।
11. এতে আমাদের প্রভু এবং উদ্ধারকর্তা যীশু খ্রীষ্টের চিরস্থায়ী রাজ্যে আগ্রহের সংগে তোমাদের গ্রহণ করা হবে।
12. এইজন্যই আমি সব সময় এই বিষয়গুলো তোমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছি। অবশ্য তোমরা তো এই সব জানই এবং যে সত্য তোমাদের অন্তরে আছে তাতে স্থিরও আছ।
13. কিন্তু আমি মনে করি, যতদিন আমি এই তাম্বুর মত অস্থায়ী দেহে বেঁচে থাকব ততদিন এই বিষয়গুলো মনে করিয়ে দিয়ে তোমাদের জাগিয়ে রাখা আমার উচিত;
14. কারণ আমি যে আর বেশী দিন এই দেহ-তাম্বুতে থাকব না তা আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট আমাকে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন।
15. আমার মৃত্যুর পরেও যাতে তোমরা এই সব বিষয় সব সময় মনে রাখ, আমি তার ব্যবস্থা করতে খুব চেষ্টা করব।
16. আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের শক্তি ও তাঁর আসবার বিষয় তোমাদের কাছে জানাতে গিয়ে আমরা কোন বানানো গল্প বলি নি; আমরা তাঁর মহিমা নিজেদের চোখেই দেখেছি।
17. “ইনি আমার প্রিয় পুত্র, এঁর উপরে আমি খুব সন্তুষ্ট,” স্বর্গ থেকে বলা এই কথার মধ্য দিয়ে খ্রীষ্ট পিতা ঈশ্বরের কাছ থেকে সম্মান ও গৌরব লাভ করেছিলেন।
18. আমরা যখন তাঁর সংগে সেই পবিত্র পাহাড়ে ছিলাম তখন স্বর্গ থেকে বলা এই কথাগুলো শুনেছিলাম।
19. শাস্ত্রের মধ্যে নবীরা যা বলেছেন তা আমাদের কাছে সত্যি বলে প্রমাণিত হয়েছে। অন্ধকারে যেমন তোমাদের চোখ বাতির দিকে থাকে ঠিক তেমনি করে, যতক্ষণ সকাল না হয় এবং তোমাদের অন্তরে শুকতারা না ওঠে, ততক্ষণ পর্যন্ত নবীদের কথায় মনোযোগ দিলে তোমরা ভাল করবে।
20. তবে সব কিছুর উপরে এই কথা মনে রেখো যে, শাস্ত্রের মধ্যেকার কোন কথা নবীদের মনগড়া নয়,
21. কারণ নবীরা তাঁদের ইচ্ছামত কোন কথা বলেন নি; পবিত্র আত্মার দ্বারা পরিচালিত হয়েই তাঁরা ঈশ্বরের দেওয়া কথা বলেছেন।