7. কিন্তু এই ধন মাটির পাত্রে রাখা হয়েছে, আর আমরাই সেই মাটির পাত্র। মাটির পাত্রে তা রাখা হয়েছে যেন লোকে বুঝতে পারে যে, এই অসাধারণ মহাশক্তি আমাদের নিজেদের কাছ থেকে আসে নি বরং ঈশ্বরের কাছ থেকেই এসেছে।
8. সব দিক থেকেই আমাদের উপর চাপ পড়ছে, তবু আমরা ভেংগে পড়ছি না। বুদ্ধিহারা হলেও আমরা সম্পূর্ণ হতাশ হয়ে পড়ছি না;
9. অত্যাচারিত হলেও ঈশ্বর আমাদের ত্যাগ করছেন না; মাটিতে আছড়ে ফেললেও আমরা ধ্বংস হচ্ছি না।
10. আমরা সব সময় প্রভু যীশুর মৃত্যু আমাদের দেহে বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছি, যেন আমাদের দেহের মধ্যে যীশুর জীবনও প্রকাশিত হয়।
11. আমরা যারা বেঁচে আছি আমাদের সব সময়ই যীশুর জন্য মৃত্যুর হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে, যেন আমাদের মৃত্যুর অধীন দেহে যীশুর জীবনও প্রকাশিত হয়।
12. সেইজন্য আমাদের মধ্যে মৃত্যু কাজ করছে কিন্তু তোমাদের মধ্যে জীবন কাজ করছে।
13. পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে, “আমি বিশ্বাস করেছি বলেই কথা বলেছি।” এই একই রকম বিশ্বাসের মনোভাব নিয়ে আমরাও বিশ্বাস করি বলে কথা বলছি,
14. কারণ আমরা জানি, যিনি প্রভু যীশুকে জীবিত করেছিলেন তিনি তাঁর সংগে আমাদেরও জীবিত করবেন এবং তোমাদের সংগে আমাদেরও নিজের সামনে উপস্থিত করবেন।
15. সব কিছু তোমাদের উপকারের জন্যই হয়েছে, যেন ঈশ্বরের যে দয়া অনেক লোকের উপর ঢেলে দেওয়া হয়েছে সেই দয়ার জন্য অনেকেই ঈশ্বরকে আরও বেশী করে ধন্যবাদ দেয় এবং এইভাবে ঈশ্বরের গৌরব হয়।
16. এইজন্য আমরা হতাশ হই না। যদিও আমাদের বাইরের দেহ ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে তবুও আমাদের ভিতরের মানুষ দিনে দিনে নতুন হয়ে উঠছে।
17. এখন আমরা অল্পকালের জন্য যে সামান্য কষ্টভোগ করছি তার ফলে আমরা চিরকালের মহিমা লাভ করব। এই মহিমা এত বেশী যে, তা মাপা যায় না।
18. যা দেখা যায় আমরা তার দিকে দেখছি না, বরং যা দেখা যায় না তার দিকেই দেখছি। যা দেখা যায় তা মাত্র অল্প দিনের, কিন্তু যা দেখা যায় না তা চিরদিনের।