1. তাই আমি মনে মনে ঠিক করলাম, আবার তোমাদের দুঃখ দেবার জন্য তোমাদের কাছে যাব না,
2. কারণ তোমাদেরই যদি আমি দুঃখ দিই তবে আমাকে আনন্দ দেবে কে? যাদের আমি দুঃখ দেব সেই তোমরা ছাড়া আমাকে আনন্দ দেবার যে আর কেউ নেই।
3. যখন আমি যাব তখন যাদের কাছ থেকে আমার আনন্দ পাবার কথা তাদের কাছ থেকে আমি যেন দুঃখ না পাই, সেইজন্যই আমি এই কথা লিখেছিলাম। তোমাদের উপর আমার এই বিশ্বাস আছে যে, আমি যাতে আনন্দ পাই তোমরাও তাতে আনন্দ পাও।
4. অনেক দুঃখ ও মনের ব্যথায় চোখের জলের ভিতর দিয়ে আমি তোমাদের কাছে লিখেছিলাম। তোমাদের দুঃখ দেবার জন্য আমি লিখি নি, বরং তোমাদের প্রতি আমার ভালবাসা যে কত গভীর তা জানাবার জন্যই লিখেছিলাম।
5. কেউ যদি আমাকে দুঃখ দিয়ে থাকে তবে কথাটা কড়া করে না বলে শুধু এটুকুই বলি যে, সে কেবল আমাকে দুঃখ দেয় নি, কিন্তু কিছু পরিমাণে তোমাদের সবাইকে দুঃখ দিয়েছে।
6. তোমাদের বেশীর ভাগ লোক মিলে তাকে যে শাস্তি দিয়েছে তা-ই তার পক্ষে যথেষ্ট।
7. তোমরা বরং এখন তাকে ক্ষমা কর এবং সান্ত্বনা দাও, যেন অতিরিক্ত দুঃখে সে হতাশ হয়ে না পড়ে।
8. তাই আমি বিশেষভাবে তোমাদের অনুরোধ করছি, তাকে যে তোমরা ভালবাস তা প্রমাণ করে দেখাও।
9. আমি যাচাই করে দেখতে চেয়েছিলাম তোমরা সব বিষয়ে বাধ্য আছ কিনা, আর এইজন্যই আমি তোমাদের কাছে লিখেছিলাম।
10. কোন ব্যাপারে যদি কাউকে তোমরা ক্ষমা কর তবে আমিও তাকে ক্ষমা করি। আর সত্যিই যদি আমি কোন কিছু ক্ষমা করে থাকি তবে খ্রীষ্টের সামনে তোমাদের জন্যই তা করেছি,
11. যেন শয়তান আমাদের উপরে কোন সুযোগ-সুবিধা না পায়। তার মতলবের কথা তো আমাদের অজানা নেই।