8. এশিয়া প্রদেশে আমরা যে কষ্টে পড়েছিলাম, আমরা চাই তা যেন তোমরা জানতে পার। সেখানে সহ্যের অতিরিক্ত এমন চাপ আমাদের উপর পড়েছিল যে, বাঁচবার আশা আমরা ছেড়েই দিয়েছিলাম।
9. আমরা ভেবেছিলাম যে, এবার আমরা নিশ্চয়ই মারা যাব। কিন্তু এই অবস্থা আমাদের এইজন্য হয়েছিল যেন আমরা নিজেদের উপর নির্ভর না করে ঈশ্বর, যিনি মৃতদের জীবিত করে তোলেন, তাঁর উপর নির্ভর করি।
10. এক ভীষণ মৃত্যুর হাত থেকে তিনি আমাদের রক্ষা করেছিলেন এবং এখনও করছেন। আমরা তাঁর উপর এই আশা রাখি যে, তিনি সব সময়ই আমাদের রক্ষা করতে থাকবেন।
11. আর তোমরাও আমাদের জন্য প্রার্থনা করে আমাদের সাহায্য কোরো। তাহলে অনেকের প্রার্থনার ফলে আমরা যে আশীর্বাদ পাব তার দরুন আমাদের জন্য অনেকেই ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেবে।
12. আমরা যে জন্য গর্ব বোধ করি তা এই-আমাদের বিবেক এই সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, ঈশ্বরের দেওয়া পবিত্রতায় এবং সরলতায় আমরা সব মানুষের মধ্যে, বিশেষ করে তোমাদের মধ্যে জীবন কাটিয়েছি। সেই জীবন আমরা জাগতিক জ্ঞানের পরিচালনায় কাটাই নি বরং ঈশ্বরের দয়ার পরিচালনায় কাটিয়েছি।
15. এই কথা যে সত্যি তা জেনে আমি আগেই তোমাদের কাছে যাব বলে ঠিক করেছিলাম, যেন তোমরা দু’বার আশীর্বাদ পেতে পার।
16. আমি ঠিক করেছিলাম যে, ম্যাসিডোনিয়া যাবার পথে তোমাদের সংগে দেখা করে যাব এবং ম্যাসিডোনিয়া থেকে আবার তোমাদের কাছেই ফিরে আসব, যেন তোমরা আমাকে যিহূদিয়াতে পাঠাবার ব্যবস্থা করতে পার।
17. তোমরা কি মনে কর আমি কোন তামাশার মনোভাব নিয়ে এটা ঠিক করেছিলাম? সাধারণ মানুষ যেমন একই সময়ে “হ্যাঁ” আবার “না” বলে, আমি কি তেমনি করে কোন কিছু ঠিক করি?
18. ঈশ্বর বিশ্বাসযোগ্য, এই কথা যেমন সত্যি তেমনি এটাও সত্যি যে, তোমাদের কাছে আমাদের কথা একই সময়ে “হ্যাঁ” এবং “না” হয় না।
19. যাঁর কথা সীলবান, তীমথিয় এবং আমি তোমাদের কাছে প্রচার করেছি সেই যীশু খ্রীষ্ট, ঈশ্বরের পুত্র, একই সময়ে “হ্যাঁ” এবং “না” নন;
20. তিনি সব সময় “হ্যাঁ”। ঈশ্বরের সমস্ত প্রতিজ্ঞা খ্রীষ্টের মধ্য দিয়ে “হ্যাঁ” হয়ে ওঠে। তাই ঈশ্বরের গৌরবের জন্য খ্রীষ্টেরই মধ্য দিয়ে আমরা “আমেন” বলি।