3. তারপর শৌলের বিরুদ্ধে আরও ভীষণভাবে যুদ্ধ চলতে লাগল। ধনুকধারী সৈন্যেরা তাঁকে দেখতে পেয়ে আঘাত করল।
4. শৌল তখন তাঁর অস্ত্র বহনকারী লোকটিকে বললেন, “তোমার তলোয়ার বের করে আমার দেহটা এফোঁড়-ওফোঁড় করে দাও। তা না হলে ঐ সুন্নত-না-করানো লোকেরা এসে আমার দেহটা এফোঁড়-ওফোঁড় করবে এবং আমাকে অপমান করবে।”কিন্তু তাঁর অস্ত্র বহনকারী লোকটি তা করতে রাজী হল না, কারণ সে খুব ভয় পেয়েছিল। তখন শৌল তাঁর তলোয়ার নিয়ে নিজেই তার উপরে পড়লেন।
5. শৌল মারা গেছেন দেখে তাঁর অস্ত্রবহনকারীও নিজের তলোয়ারের উপর পড়ে শৌলের সংগে মারা গেল।
6. এইভাবে সেই দিন শৌল, তাঁর তিন ছেলে, তাঁর অস্ত্র বহনকারী এবং তাঁর সংগের লোকেরা একসংগে মারা গেলেন।
7. যে সব ইস্রায়েলীয় উপত্যকার অন্য দিকে ছিল আর যারা যর্দন নদীর ওপারে ছিল তারা যখন দেখল যে, ইস্রায়েলীয় সৈন্যেরা পালিয়ে গেছে এবং শৌল ও তাঁর ছেলেরা মারা পড়েছেন তখন তারাও তাদের শহর ও গ্রামগুলো ছেড়ে পালিয়ে গেল, আর পলেষ্টীয়েরা এসে সেগুলো দখল করে নিল।
8. পরের দিন পলেষ্টীয়েরা মৃত লোকদের সব কিছু লুট করতে এসে দেখল গিল্বোয় পাহাড়ের উপরে শৌল ও তাঁর তিন ছেলের মৃতদেহ পড়ে আছে।
9. তারা শৌলের মাথা কেটে ফেলল এবং তাঁর সাজ-পোশাক ও অস্ত্রশস্ত্র খুলে নিল। এই খবর তাদের সমস্ত দেব-মন্দিরে এবং লোকদের কাছে ঘোষণা করবার জন্য তারা পলেষ্টীয়দের দেশের সব জায়গায় সেগুলো পাঠিয়ে দিল।
10. তারপর তারা শৌলের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অষ্টারোৎ দেবীর মন্দিরে রাখল আর তাঁর দেহটা বৈৎ-শান শহরের দেয়ালে টাংগিয়ে দিল।
11. পলেষ্টীয়েরা শৌলের প্রতি যা করেছে যাবেশ-গিলিয়দের লোকেরা তা শুনতে পেল।
12. তখন সেখানকার বীর সৈন্যেরা সারারাত হেঁটে বৈৎ-শানে গিয়ে শৌল ও তাঁর ছেলেদের মৃতদেহগুলো দেয়াল থেকে নামিয়ে নিল এবং যাবেশে নিয়ে গিয়ে তা পুড়িয়ে দিল।
13. তারপর তারা তাঁদের হাড়গুলো নিয়ে সেখানকার একটা ঝাউ গাছের তলায় কবর দিল এবং সাত দিন উপবাস করে কাটাল। ॥ভব