9. যদি সে আমার সংগে যুদ্ধ করে আমাকে মেরে ফেলতে পারে তাহলে আমরা তোমাদের চাকর হব; কিন্তু যদি আমি তাকে মেরে ফেলতে পারি তবে তোমরা আমাদের চাকর হয়ে চাকরের কাজ করবে।”
10. সেই পলেষ্টীয় আরও বলল, “আমি আজ ইস্রায়েলের সৈন্যদলকে টিটকারি দিয়ে বলছি, আমার সংগে যুদ্ধ করবার জন্য তোমরা একজন লোক দাও।”
11. তার এই সব কথা শুনে শৌল ও অন্যান্য ইস্রায়েলীয়েরা ভীষণ ভয় পেলেন।
12. দায়ূদের বাবা যিশয় যিহূদা এলাকার ইফ্রাথ, অর্থাৎ বৈৎলেহম গ্রামে বাস করতেন। তাঁর আটটি ছেলে ছিল। শৌলের রাজত্বের সময়ে তিনি বুড়ো হয়ে গিয়েছিলেন।
13. যিশয়ের ছেলেদের মধ্যে প্রথম তিনজন শৌলের সংগে যুদ্ধে গিয়েছিল। যে তিনজন যুদ্ধে গিয়েছিল তাদের মধ্যে বড়টির নাম ইলীয়াব, দ্বিতীয়টির নাম অবীনাদব এবং তৃতীয়টির নাম শম্ম।
14. তাঁর ছেলেদের মধ্যে দায়ূদই ছিলেন সবার ছোট। প্রথম তিনজন শৌলের সংগে গিয়েছিল,
15. কিন্তু দায়ূদ শৌলের কাছেও থাকতেন, আবার তাঁর বাবার ভেড়া চরাবার জন্য বৈৎলেহমেও যেতেন।
16. সেই পলেষ্টীয় চল্লিশ দিন পর্যন্ত প্রতিদিন সূর্য উঠবার ও ডুববার সময় এগিয়ে এসে নিজেকে দেখাত।
17. একদিন যিশয় তাঁর ছেলে দায়ূদকে বললেন, “তুমি তোমার ভাইদের জন্য এই আঠারো কেজি ভাজা শস্য আর এই দশটা রুটি নিয়ে তাড়াতাড়ি সৈন্য-ছাউনিতে তাদের কাছে যাও,
18. আর এই দশ তাল পনীর তাদের হাজারপতির জন্য নিয়ে যাও। তোমার ভাইয়েরা কেমন আছে তা দেখে এস আর তাদের কাছ থেকে কোন একটা চিহ্ন নিয়ে এস।
19. শৌল ও তোমার ভাইয়েরা আর সমস্ত ইস্রায়েলীয় সৈন্যেরা এলা উপত্যকায় আছে এবং পলেষ্টীয়দের সংগে যুদ্ধ করছে।”
20. দায়ূদ ভোরে উঠেই অন্য একজন রাখালের হাতে তাঁর ভেড়ার পালের ভার দিলেন। তারপর যিশয়ের আদেশ মত তিনি সব জিনিস নিয়ে রওনা হয়ে গেলেন। তিনি যখন ছাউনির কাছে পৌঁছালেন তখন ইস্রায়েলীয় সৈন্যেরা সারি বেঁধে যুদ্ধের হাঁক দিতে দিতে বেরিয়ে যাচ্ছিল।
21. ইস্রায়েলীয়েরা ও পলেষ্টীয়েরা যুদ্ধ করবার জন্য মুখোমুখি তাদের সৈন্য সাজাল।
22. তখন দায়ূদ তাঁর জিনিসগুলো মাল-রক্ষকের কাছে রেখে দৌড়ে সৈন্যদলের মধ্যে ঢুকে ভাইদের জিজ্ঞাসা করলেন যে, তারা কেমন আছে।