6. যোনাথন তাঁর অস্ত্র বহনকারী যুবকটিকে বললেন, “চল, আমরা ওপাশে ঐ সুন্নত-না-করানো লোকদের ছাউনিতে যাই। হয়তো সদাপ্রভু আমাদের জন্য কিছু করবেন, কারণ তিনি তাঁর নিজের ইচ্ছামতই কম লোক দিয়ে হোক বা বেশী লোক দিয়ে হোক জয়ী হতে পারেন।”
7. অস্ত্র বহনকারী লোকটি তখন বলল, “আপনার মন যা বলে তা-ই করুন। চলুন, আপনার ইচ্ছামতই আমি চলব।”
8. যোনাথন বললেন, “তাহলে চল, আমরা ওপাশে ওদের দিকে গিয়ে ওদের দেখা দেব।
9. ওরা যদি আমাদের বলে, ‘দাঁড়াও, আমরা তোমাদের কাছে আসছি,’ তাহলে আমরা যেখানে থাকব সেখান থেকে আর ওদের কাছে উঠে যাব না।
10. কিন্তু যদি ওরা বলে, ‘আমাদের কাছে উঠে এস,’ তাহলে আমরা উঠে যাব। সদাপ্রভু যে আমাদের হাতে ওদের তুলে দিয়েছেন ওটাই হবে আমাদের কাছে তার চিহ্ন।”
11. এই বলে পলেষ্টীয় সৈন্যদের সামনে গিয়ে তাঁরা দু’জন দেখা দিলেন। তখন পলেষ্টীয়েরা বলল, “ঐ দেখ, গর্তে লুকানো ইব্রীয়েরা বের হয়ে আসছে।”
12. তাদের সৈন্য-ছাউনির লোকেরা যোনাথন ও তাঁর অস্ত্র বহনকারী লোকটিকে বলল, “আমাদের কাছে উঠে আয়, তোদের দেখিয়ে দিচ্ছি।”তখন যোনাথন তাঁর অস্ত্র বহনকারী লোকটিকে বললেন, “আমার পিছনে পিছনে উঠে এস। সদাপ্রভু ইস্রায়েলীয়দের হাতে ওদের দিয়ে রেখেছেন।”
13. যোনাথন চার হাত-পায়ে উপরে উঠে গেলেন আর তাঁর অস্ত্র বহনকারী লোকটিও তাঁর পিছনে পিছনে উঠে গেল। পলেষ্টীয়েরা যোনাথনের হাতে মারা পড়তে লাগল আর তাঁর অস্ত্র বহনকারী লোকটিও তাঁর পিছনে পিছনে পলেষ্টীয়দের মারতে লাগল।
14. যোনাথন ও তাঁর অস্ত্র বহনকারী লোকটির আক্রমণের শুরুতেই কমবেশী আধা একর জমির মধ্যে প্রায় বিশজন লোক মারা পড়ল।
15. এর ফলে পলেষ্টীয়দের যুদ্ধের মাঠের ছাউনিতে এবং সমস্ত সৈন্যদের মধ্যে একটা ভীষণ ভয় দেখা দিল; এমন কি, তাদের মিক্মসের ছাউনির ও হানাদার দলের সৈন্যেরা ভয়ে কাঁপতে লাগল, আর সেই সংগে ভূমিকম্পও হল। সেই ভীষণ ভয় ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছিল।
16. বিন্যামীন এলাকার গিবিয়াতে শৌলের পাহারাদার সৈন্যেরা দেখতে পেল যে, পলেষ্টীয় সৈন্যেরা দলছাড়া হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে।
17. শৌল তখন তাঁর সংগের লোকদের বললেন, “সৈন্যদের জড়ো করে সাজিয়ে দেখ, কে আমাদের মধ্য থেকে চলে গেছে।” তাতে তারা দেখতে পেল যোনাথন ও তাঁর অস্ত্র বহনকারী লোকটি সেখানে নেই।
18. শৌল তখন অহিয়কে বললেন, “আপনি ঈশ্বরের সিন্দুকটি নিয়ে আসুন।” (সেই সময় সিন্দুকটি ইস্রায়েলীয়দের কাছেই ছিল।)
19. শৌল যখন পুরোহিতের সংগে কথা বলছিলেন তখন পলেষ্টীয়দের ছাউনিতে গোলমাল চলছিল এবং তা বেড়ে যাচ্ছিল। কাজেই শৌল পুরোহিতকে বললেন, “থাক্, লাগবে না।”
20. তারপর শৌল ও তাঁর সব সৈন্যেরা যুদ্ধের ডাকে সাড়া দিয়ে একত্র হয়ে যুদ্ধ করতে গেলেন। তাঁরা দেখলেন যে, পলেষ্টীয়েরা একজন আর একজনের উপর তলোয়ার চালাচ্ছে এবং তাদের মধ্যে ভীষণ বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে।