27. যোনাথন শোনেন নি যে, তাঁর বাবা লোকদের দিয়ে এই রকম একটা দিব্য করিয়ে নিয়েছেন। তাই তিনি তাঁর হাতের লাঠির আগাটা বাড়িয়ে মৌচাকে ঢুকালেন এবং মধু হাতে নিয়ে খেতে লাগলেন। তাতে তাঁর দেহে শক্তি ফিরে আসল।
28. তখন সৈন্যদের একজন তাঁকে বলল, “আপনার বাবা সৈন্যদের দিয়ে একটা কঠিন শপথ করিয়ে নিয়েছেন আর বলেছেন, ‘আজ যদি কেউ কিছু খায় তবে তার উপর অভিশাপ পড়বে।’ তাই লোকেরা এত দুর্বল হয়ে পড়েছে।”
29. তখন যোনাথন বললেন, “আমার বাবা তো লোকদের কষ্ট দিচ্ছেন। দেখ, এই মধু একটুখানি মুখে দেওয়াতে আমার দেহে কেমন শক্তি ফিরে এসেছে।
30. শত্রুদের কাছ থেকে লুটে নেওয়া খাবার থেকে যদি আজ লোকেরা খেতে পারত তাহলে কত ভাল হত, আর পলেষ্টীয়েরাও আরও অনেক বেশী মারা পড়ত।”
31. ইস্রায়েলীয়েরা সেই দিন মিক্মস থেকে অয়ালোন পর্যন্ত পলেষ্টীয়দের মারতে মারতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল।
32. তাই তারা লুটের জিনিসের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ভেড়া, গরু, বাছুর ধরে মাটিতে ফেলে কেটে রক্ত সুদ্ধই মাংস খেতে লাগল।
33. তখন লোকেরা গিয়ে শৌলকে বলল, “দেখুন, ওরা সবাই রক্ত সুদ্ধ মাংস খেয়ে সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ করছে।”তিনি বললেন, “তোমরা অবিশ্বস্ত হয়েছ। এখন আর দেরি না করে একটা বড় পাথর গড়িয়ে এখানে নিয়ে এস।”
34. তারপর তিনি বললেন, “তোমরা লোকদের মধ্যে গিয়ে বল যেন তারা তাদের বলদ বা ভেড়া এখানে আমার কাছে নিয়ে এসে কাটে আর তার পরে খায়। রক্ত সুদ্ধ মাংস খেয়ে কেউ যেন সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ না করে।”সেই রাতে লোকেরা যে যার বলদ নিয়ে এসে সেখানে কাটল।
35. সদাপ্রভুর উদ্দেশে শৌল সেখানে একটা বেদী তৈরী করলেন। এটাই হল সদাপ্রভুর উদ্দেশে তাঁর তৈরী প্রথম বেদী।
36. পরে শৌল বললেন, “চল, আজ রাতে আমরা পলেষ্টীয়দের তাড়া করি এবং সকাল পর্যন্ত তাদের জিনিসপত্র লুট করি। তাদের একজনকেও আমরা বাঁচিয়ে রাখব না।”উত্তরে লোকেরা বলল, “আপনি যা ভাল মনে করেন তা-ই করুন।”কিন্তু পুরোহিত বললেন, “চলুন, এখানে আমরা প্রথমে ঈশ্বরের কাছে জিজ্ঞাসা করি।”
37. তখন শৌল ঈশ্বরকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আমি কি পলেষ্টীয়দের তাড়া করব? ইস্রায়েলীয়দের হাতে কি তুমি তাদের তুলে দেবে?” কিন্তু ঈশ্বর সেই দিন শৌলকে কোন উত্তর দিলেন না।