10. তিনি উৎসর্গ শেষ করবার সংগে সংগে শমূয়েল এসে পৌঁছালেন। তখন শৌল তাঁকে শুভেচ্ছা জানাবার জন্য তাঁর সংগে দেখা করতে গেলেন।
11. শমূয়েল তাঁকে বললেন, “তুমি এটা কি করেছ?”উত্তরে শৌল বললেন, “আমি দেখলাম যে, লোকেরা আমার কাছ থেকে চলে যাচ্ছে এবং ঠিক সময়ে আপনিও আসলেন না, আবার পলেষ্টীয়েরাও এদিকে মিক্মসে এসে জড়ো হয়েছে।
12. সেইজন্য আমি ভাবলাম, পলেষ্টীয়েরা গিল্গলে আমাকে আক্রমণ করতে আসছে অথচ আমি সদাপ্রভুর দয়া পাবার চেষ্টা করি নি। কাজেই আমার ইচ্ছা না থাকলেও আমি পোড়ানো-উৎসর্গের অনুষ্ঠান করলাম।”
13. শমূয়েল বললেন, “তুমি বোকার মত কাজ করেছ। তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যে আদেশ তোমাকে দিয়েছিলেন তা তুমি পালন কর নি। যদি তুমি তা করতে তবে ইস্রায়েলের উপর তোমার রাজত্ব তিনি চিরকাল স্থায়ী করতেন।
14. কিন্তু এখন তোমার রাজত্ব আর বেশী দিন টিকবে না। সদাপ্রভু তাঁর মনের মত একজন লোককে খুঁজে নিয়েছেন এবং তাঁকেই তাঁর লোকদের নেতা নিযুক্ত করেছেন, কারণ তাঁর আদেশ তুমি পালন কর নি।”
15. এর পর শমূয়েল গিল্গল ছেড়ে বিন্যামীন এলাকার গিবিয়াতে চলে গেলেন। শৌল তাঁর সংগের লোকদের গুণে দেখলেন যে, তারা সংখ্যায় প্রায় ছ’শো।
16. পরে শৌল ও তাঁর ছেলে যোনাথন এবং তাঁদের সংগের লোকেরা বিন্যামীন এলাকার গেবাতে গিয়ে থাকতে লাগলেন আর এদিকে পলেষ্টীয়েরা মিক্মসে ছাউনি ফেলে রইল।
17. পলেষ্টীয়দের ছাউনি থেকে তিন দল হানাদার সৈন্য বের হল। তাদের এক দল অফ্রা গ্রামের পথে শূয়াল এলাকায় গেল।
18. আর এক দল গেল বৈৎ-হোরোণের দিকে এবং অন্য দলটি গেল সেই পাহাড়ী এলাকায় যেখান থেকে মরু-এলাকার সিবোয়িম উপত্যকা দেখা যায়।
19. সেই সময় ইস্রায়েল দেশের মধ্যে কোন কামার পাওয়া যেত না, কারণ পলেষ্টীয়েরা মনে করত কামার থাকলে ইব্রীয়েরা তলোয়ার কিম্বা বর্শা তৈরী করিয়ে নেবে।