3. “তারপর তুমি সেখান থেকে এগিয়ে গিয়ে তাবোর এলাকার এলোন গাছের কাছে গেলে দেখতে পাবে তিনজন লোক ঈশ্বরের উপাসনার জন্য বৈথেলে উঠে যাচ্ছে। তুমি দেখবে, তাদের একজন তিনটা ছাগলের বাচ্চা, আর একজন তিনটা রুটি ও আর একজন এক পাত্র আংগুর-রস বয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
4. তারা তোমাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে দু’টা রুটি দেবে এবং তুমি তা তাদের হাত থেকে নেবে।
5. “তারপর তুমি গিবিয়োৎ-হা-এলোহিম শহরে যাবে। সেখানে পলেষ্টীয় সৈন্যদের একটা ছাউনি আছে। শহরে পৌঁছালে পর এমন এক দল নবীর সংগে তোমার দেখা হবে যারা ঈশ্বরের দেওয়া কথা বলতে বলতে উপাসনার উঁচু স্থান থেকে নেমে আসছে। তাদের দলের সামনের লোকেরা বীণা, খঞ্জনি, বাঁশী ও সুরবাহার বাজাতে বাজাতে চলতে থাকবে।
6. তখন সদাপ্রভুর আত্মা সম্পূর্ণভাবে তোমাকে নিজের বশে আনবেন, আর তাতে তুমিও তাদের সংগে ঈশ্বরের দেওয়া কথা বলবে। তখন তুমি অন্য ধরনের মানুষ হয়ে যাবে।
7. এই সব চিহ্ন ঘটলে পর তোমার তখন যা করা উচিত তুমি তা-ই কোরো; ঈশ্বর তোমার সংগে থাকবেন।
8. “তুমি আমার আগে নেমে গিল্গলে যাও। আমি পোড়ানো ও যোগাযোগ-উৎসর্গের অনুষ্ঠান করবার জন্য তোমার কাছে আসছি। আমি না আসা পর্যন্ত তুমি সাত দিন আমার জন্য অপেক্ষা করবে। আমি এসে বলব তোমাকে কি করতে হবে।”
9. শমূয়েলের কাছ থেকে চলে যাবার উদ্দেশ্যে শৌল ঘুরে দাঁড়াতেই ঈশ্বর তাঁর মন বদলে দিলেন। সেই দিনই চিহ্ন হিসাবে বলা ঘটনাগুলো ঘটল।
10. শৌল ও তাঁর চাকর গিবিয়াতে পৌঁছালে এক দল নবীর সংগে তাঁদের দেখা হল। তখন ঈশ্বরের আত্মা শৌলকে সম্পূর্ণভাবে নিজের বশে আনলেন, আর তাতে তিনি ঐ নবীদের মাঝখানে গিয়ে ঈশ্বরের দেওয়া কথা বলতে লাগলেন।
11. যারা শৌলকে আগে থেকেই চিনত তারা তাঁকে নবীদের সংগে ঈশ্বরের দেওয়া কথা বলতে দেখে একে অন্যকে বলতে লাগল, “কীশের ছেলের এ কি হল? শৌলও কি তবে নবীদের মধ্যে একজন?”
12. তাতে সেখানকার একজন লোক বলল, “কিন্তু এরা কাদের ছেলে?” সেইজন্য “শৌলও কি নবীদের মধ্যে একজন?” এই কথাটা চল্তি কথা হয়ে উঠল।