36. সেই গোলাকার জিনিসের বাইরের দিকে ভাগে ভাগে করূব, সিংহ ও খেজুর গাছ খোদাই করা হয়েছিল। প্রতিটি ভাগের ফাঁকে ঠেক্না ছিল, আর সেই ঠেক্নার উপরে তৈরী করা ছিল ফুলের মত নক্শা। এই গোলাকার জিনিসটা বাক্সের সংগেই তৈরী করা হয়েছিল।
37. এইভাবেই তিনি দশটা বাক্স তৈরী করলেন। সেগুলো একই ছাঁচে ঢালা হয়েছিল এবং আয়তন ও আকারে একই রকম ছিল।
38. তিনি প্রত্যেকটা বাক্সের জন্য একটা করে ব্রোঞ্জের দশটা গামলা তৈরী করলেন। প্রত্যেকটা গামলার বেড় ছিল চার হাত এবং তাতে আটশো আশি লিটার জল ধরত।
39. তিনি উপাসনা-ঘরের দক্ষিণ দিকে পাঁচটা এবং উত্তর দিকে পাঁচটা বাক্স রাখলেন; আর দক্ষিণ-পূর্ব কোণায় রাখলেন সেই বিরাট পাত্রটা।
40. এছাড়া তিনি অন্যান্য পাত্র, হাতা ও বাটি তৈরী করলেন।এইভাবে রাজা শলোমনের জন্য হীরাম সদাপ্রভুর ঘরের যে যে কাজ আরম্ভ করেছিলেন তা শেষ করলেন। সেগুলো হল:
41. দু’টা থাম, থামের উপরকার গোলাকার দু’টা মাথা, সেই মাথার উপরটা সাজাবার জন্য দুই সারি কারুকাজ করা পাকানো শিকল;
42. সেই শিকলগুলোর জন্য চারশো ডালিম- থামের উপরকার মাথার গোলাকার অংশটা সাজাবার জন্য প্রত্যেক সারি শিকলের জন্য দুই সারি ডালিম;
43. দশটা বাক্স ও দশটা গামলা;
44. বিরাট পাত্র ও তার নীচের বারোটা গরু;
45. পাত্র, হাতা ও বাটি।হীরাম যে সব জিনিস রাজা শলোমনের নির্দেশে সদাপ্রভুর ঘরের জন্য তৈরী করেছিলেন সেগুলো ছিল চক্চকে ব্রোঞ্জের।
46. যর্দনের সমভূমিতে সুক্কোৎ ও সর্তনের মাঝামাঝি এক জায়গায় রাজা এই সব জিনিস মাটির ছাঁচে ফেলে তৈরী করিয়েছিলেন।
47. জিনিসগুলোর সংখ্যা এত বেশী ছিল যে, শলোমন সেগুলো ওজন করেন নি; সেইজন্য ব্রোঞ্জের পরিমাণ জানা যায় নি।
48. সদাপ্রভুর ঘরের যে সব জিনিসপত্র শলোমন তৈরী করিয়েছিলেন সেগুলো হল: সোনার বেদী, সম্মুখ-রুটি রাখবার সোনার টেবিল;
49. খাঁটি সোনার বাতিদান- সেগুলো ছিল মহাপবিত্র স্থানের সামনে, ডানে পাঁচটা ও বাঁয়ে পাঁচটা; সোনার ফুল, বাতি এবং চিম্টা;