26. পাত্রটা ছিল চার আংগুল পুরু। তার মুখটা একটা বাটির মুখের মত ছিল এবং লিলি ফুলের পাপড়ির মত বাইরের দিকে উল্টানো ছিল। তাতে চুয়াল্লিশ হাজার লিটার জল ধরত।
27. হীরাম ব্রোঞ্জের দশটা বাক্সের মত জিনিস তৈরী করলেন। সেগুলোর প্রত্যেকটা চার হাত লম্বা, চার হাত চওড়া ও তিন হাত উঁচু ছিল।
28. বাক্সের চারপাশের ব্রোঞ্জের পাত ফ্রেমের মধ্যে বসানো ছিল।
29. সেই পাতগুলোর উপরে সিংহ, গরু ও করূবের মূর্তি ছিল এবং সিংহ ও গরুর নীচে ফুলের মত নক্শা করা ছিল। বাক্সের উপরের ফ্রেমের সংগে লাগানো একটা গামলা বসাবার আসন ছিল।
30. প্রত্যেকটা বাক্সে ব্রোঞ্জের ধুরা সুদ্ধ ব্রোঞ্জের চারটা চাকা ছিল। গামলা বসাবার জন্য চার কোণায় ব্রোঞ্জের চারটা ঠেক্না ছিল। সেগুলোতেও ফুলের মত নক্শা করা ছিল।
31. গামলা বসাবার আসনের মধ্যে একটা গোলাকার ফাঁকা জায়গা ছিল। সেই ফাঁকা জায়গাটার এক দিক থেকে সোজাসুজি অন্য দিকের মাপ হল দেড় হাত। সেই ফাঁকা জায়গার চারদিকে খোদাই করা কারুকাজ ছিল। গামলাটা সেই ফাঁকা জায়গার মধ্যে বসানো হলে পর আসন থেকে গামলাটার উচ্চতা হল এক হাত। বাক্সের পাতগুলো গোল ছিল না, চৌকো ছিল।
32. পাতগুলোর নীচে চারটা চাকা ছিল আর চাকার ধুরাগুলো বাক্সের সংগে লাগানো ছিল। প্রত্যেকটা চাকা দেড় হাত উঁচু ছিল।
33. চাকাগুলো রথের চাকার মত ছিল; ধুরা, চাকার বেড়, শিক ও মধ্যের নাভি সবই ছাঁচে ঢালাই করা ছিল।
34. প্রত্যেকটা বাক্সের চার কোণায় চারটা ঠেক্না লাগানো ছিল।
35. বাক্সের উপরে ব্রোঞ্জ দিয়ে তৈরী আধ হাত উঁচু একটা গোলাকার জিনিস ছিল।
36. সেই গোলাকার জিনিসের বাইরের দিকে ভাগে ভাগে করূব, সিংহ ও খেজুর গাছ খোদাই করা হয়েছিল। প্রতিটি ভাগের ফাঁকে ঠেক্না ছিল, আর সেই ঠেক্নার উপরে তৈরী করা ছিল ফুলের মত নক্শা। এই গোলাকার জিনিসটা বাক্সের সংগেই তৈরী করা হয়েছিল।
37. এইভাবেই তিনি দশটা বাক্স তৈরী করলেন। সেগুলো একই ছাঁচে ঢালা হয়েছিল এবং আয়তন ও আকারে একই রকম ছিল।
38. তিনি প্রত্যেকটা বাক্সের জন্য একটা করে ব্রোঞ্জের দশটা গামলা তৈরী করলেন। প্রত্যেকটা গামলার বেড় ছিল চার হাত এবং তাতে আটশো আশি লিটার জল ধরত।
39. তিনি উপাসনা-ঘরের দক্ষিণ দিকে পাঁচটা এবং উত্তর দিকে পাঁচটা বাক্স রাখলেন; আর দক্ষিণ-পূর্ব কোণায় রাখলেন সেই বিরাট পাত্রটা।