১ রাজাবলি 7:17-18-29 পবিত্র বাইবেল (SBCL)

2. রাজবাড়ীতে তিনি লেবানন-বন-কুটির নামে একটা ঘর তৈরী করেছিলেন। এই ঘরটা একশো হাত লম্বা, পঞ্চাশ হাত চওড়া ও ত্রিশ হাত উঁচু ছিল। এরস কাঠের চার সারি থামের উপর এরস কাঠের ছেঁটে নেওয়া বীমগুলো বসানো ছিল।

3. থামের উপর বসানো বীমগুলোর উপরে এরস কাঠ দিয়ে ছাদ দেওয়া হল; এক এক সারিতে পনেরোটা করে পঁয়তাল্লিশটা বীম ছিল।

4. ঘরের চারপাশের দেয়ালে মুখোমুখি তিন সারি জানলা দেওয়া হল।

5. সমস্ত দরজার ফ্রেমগুলো ছিল চৌকোণা; জানলাগুলো তিন সারিতে মুখোমুখি করে তৈরী করা হয়েছিল।

6. তারপর তিনি থাম-কুটির নামে একটা ঘর তৈরী করলেন। সেটা লম্বায় ছিল পঞ্চাশ হাত আর চওড়ায় ত্রিশ হাত। তার সামনে ছিল একটা ছাদ-দেওয়া বারান্দা, আর সেই ছাদ কতগুলো থামের উপর বসানো ছিল। সেই থামগুলোর সামনে ছাদের নীচে একটা বীম ছিল।

7. বিচার-কুটির নামে তিনি একটা ঘর তৈরী করলেন; সেখানে তাঁর সিংহাসন ছিল। বিচার করবার জন্য এই ঘরটা তৈরী করা হল। ঘরের দেয়াল নীচ থেকে উপর পর্যন্ত তিনি এরস কাঠ দিয়ে ঢেকে দিলেন।

8. যে ঘরে তিনি বাস করবেন সেটা বিচার-কুটিরের পিছনে একই নমুনায় তৈরী করা হল। ফরৌণের যে মেয়েকে তিনি বিয়ে করেছিলেন তাঁর জন্য সেই রকম করেই আর একটা ঘর তৈরী করলেন।

9. রাজবাড়ীর বড় উঠান এবং সমস্ত দালানগুলোর ভিত্তি থেকে ছাদের কার্ণিশ পর্যন্ত সবই ঠিক মাপে কাটা দামী পাথর দিয়ে তৈরী করা হয়েছিল। সেই পাথরগুলো করাত দিয়ে সমান করে কেটে নেওয়া হয়েছিল।

17-18. প্রত্যেকটা থামের মাথার জন্য তিনি ব্রোঞ্জের কারুকাজ করা পাকানো সাতটা শিকল আর দুই সারি ব্রোঞ্জের ডালিম ফল তৈরী করলেন।

19. থামের উপরকার মাথা দু’টার উপরের চার হাত ছিল লিলি ফুলের আকারের।

20. মাথার নীচের অংশটা গোলাকার ছিল। সেই গোলাকার অংশের চারপাশে শিকলগুলো লাগানো ছিল। প্রত্যেকটি মাথার চারপাশে শিকলের সংগে সারি সারি করে ব্রোঞ্জের দু’শো ডালিম ফল লাগানো ছিল।

21. হীরাম সেই দু’টা ব্রোঞ্জের থাম উপাসনা-ঘরের বারান্দায় স্থাপন করলেন। দক্ষিণ দিকে যেটা রাখলেন তার নাম দেওয়া হল যাখীন (যার মানে “যিনি স্থাপন করেন”) এবং উত্তর দিকে যেটা রাখলেন তার নাম দেওয়া হল বোয়স (যার মানে “তাঁর মধ্যেই শক্তি”)।

22. লিলি ফুলের আকারের ব্রোঞ্জের মাথা দু’টা সেই থাম দু’টার উপরে বসানো ছিল। এইভাবে সেই থাম তৈরীর কাজ শেষ করা হল।

23. তারপর হীরাম ব্রোঞ্জ ছাঁচে ঢেলে জল রাখবার জন্য একটা গোল বিরাট পাত্র তৈরী করলেন। পাত্রটার এক দিক থেকে সোজাসুজি অন্য দিকের মাপ ছিল দশ হাত, গভীরতা পাঁচ হাত এবং বেড়ের চারপাশের মাপ ত্রিশ হাত।

24. পাত্রটার মুখের বাইরের কিনারার নীচে প্রতি হাত জায়গায় দশটা করে দুই সারি ব্রোঞ্জের লতানো গাছের ফল ছিল। যে ছাঁচের মধ্যে পাত্রটা তৈরী করা হয়েছিল সেই ছাঁচের মধ্যেই ফলগুলোর আকার ছিল বলে সবটা মিলে একটা জিনিসই হল।

25. পাত্রটা বারোটা ব্রোঞ্জের গরুর পিঠের উপর বসানো ছিল। সেগুলোর তিনটা উত্তরমুখী, তিনটা পশ্চিমমুখী, তিনটা দক্ষিণমুখী ও তিনটা পূর্বমূখী ছিল এবং তাদের পিছনগুলো ছিল ভিতরের দিকে।

26. পাত্রটা ছিল চার আংগুল পুরু। তার মুখটা একটা বাটির মুখের মত ছিল এবং লিলি ফুলের পাপড়ির মত বাইরের দিকে উল্টানো ছিল। তাতে চুয়াল্লিশ হাজার লিটার জল ধরত।

27. হীরাম ব্রোঞ্জের দশটা বাক্সের মত জিনিস তৈরী করলেন। সেগুলোর প্রত্যেকটা চার হাত লম্বা, চার হাত চওড়া ও তিন হাত উঁচু ছিল।

28. বাক্সের চারপাশের ব্রোঞ্জের পাত ফ্রেমের মধ্যে বসানো ছিল।

29. সেই পাতগুলোর উপরে সিংহ, গরু ও করূবের মূর্তি ছিল এবং সিংহ ও গরুর নীচে ফুলের মত নক্‌শা করা ছিল। বাক্সের উপরের ফ্রেমের সংগে লাগানো একটা গামলা বসাবার আসন ছিল।

১ রাজাবলি 7