20. যিহূদা ও ইস্রায়েলের লোকসংখ্যা ছিল সাগরের কিনারার বালুকণার মত অসংখ্য। তারা খাওয়া-দাওয়া করে সুখেই ছিল।
21. ইউফ্রেটিস নদী থেকে শুরু করে মিসর ও পলেষ্টীয়দের দেশের সীমা পর্যন্ত সমস্ত রাজ্যগুলো শলোমনের শাসনের অধীনে ছিল। শলোমন যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন এই দেশগুলো তাঁকে কর্ দিত এবং তাঁর অধীনে ছিল।
22. শলোমনের জন্য প্রতিদিন যে সব খাবার লাগত তা এই: প্রায় সাড়ে পাঁচ টন মিহি ময়দা, প্রায় এগারো টন সুজি,
23. ঘরে খাওয়ানো দশটা গরু, চরে খাওয়ানো বিশটা গরু এবং একশোটা ভেড়া; তাছাড়া হরিণ, কৃষ্ণসার, চিতা হরিণ এবং মোটা-তাজা হাঁস-মুরগী।
24. শলোমন ইউফ্রেটিস নদীর পশ্চিম দিকের সমস্ত রাজ্যগুলো, অর্থাৎ তিপ্সহ থেকে গাজা পর্যন্ত রাজত্ব করতেন এবং তার রাজ্যের সব জায়গায় শান্তি ছিল।
25. শলোমনের জীবনকালে যিহূদা ও ইস্রায়েল, অর্থাৎ দান থেকে বের্-শেবা পর্যন্ত সকলেরই নিজের নিজের আংগুর গাছ ও ডুমুর গাছ ছিল আর তারা নিরাপদে বাস করত।
26. শলোমনের রথের ঘোড়াগুলোর জন্য ছিল চল্লিশ হাজার ঘর আর বারো হাজার ঘোড়সওয়ার।
27. শাসনকর্তাদের প্রত্যেকে তাঁর পালার মাসে রাজা শলোমন ও তাঁর টেবিলে যারা খেতেন তাঁদের সকলের জন্য খাবারের যোগান দিতেন। তাঁরা খেয়াল রাখতেন যেন কোন কিছুরই অভাব না হয়।
28. রথের ঘোড়া ও অন্যান্য ঘোড়াগুলোর জন্য তাঁদের প্রত্যেকের কাজের ভার অনুসারে তাঁরা যব ও খড় নির্দিষ্ট জায়গায় আনতেন।
29. ঈশ্বর শলোমনকে সাগর পারের বালুকণার মত প্রচুর পরিমাণে জ্ঞান, বিচারবুদ্ধি ও বুঝবার ক্ষমতা দান করলেন।
30. পূর্বদেশের এবং মিসরের সমস্ত জ্ঞানী লোকদের চেয়ে শলোমনের জ্ঞান ছিল বেশী।