10. যারা ন্যায় কাজে নিজেদের ব্যস্ত রাখে না এবং ভাইকে ভালবাসে না, তারা ঈশ্বরের নয়। এতেই প্রকাশ পায়, কারা ঈশ্বরের সন্তান আর কারাই বা শয়তানের সন্তান।
11. যে কথা তোমরা প্রথম থেকে শুনে আসছ তা এই-আমাদের একে অন্যকে ভালবাসা উচিত।
12. সেইজন্য আমি বলছি, আমরা যেন কয়িনের মত না হই। কয়িন শয়তানের লোক ছিল এবং তার ভাইকে সে খুন করেছিল। কেন সে তাকে খুন করেছিল? কারণ সে মন্দ কাজ করত, আর তার ভাই ন্যায় কাজ করত।
13. ভাইয়েরা, জগতের লোকেরা যদি তোমাদের ঘৃণা করে তাতে আশ্চর্য হয়ো না।
14. আমরা ভাইদের ভালবাসি বলেই বুঝতে পারছি, আমরা মৃত্যু থেকে জীবনে পার হয়ে এসেছি। যারা ভালবাসে না তারা মৃত্যুর মধ্যে থাকে।
15. ভাইকে যে ঘৃণা করে সে খুনী। কোন খুনীর মধ্যে যে অনন্ত জীবন থাকে না, তা তোমাদের অজানা নেই।
16. খ্রীষ্ট আমাদের জন্য নিজের প্রাণ দিয়েছিলেন, তাই ভালবাসা কি তা আমরা জানতে পেরেছি। তাহলে ভাইদের জন্য নিজের প্রাণ দেওয়া আমাদেরও উচিত।
17. এই জগতে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকবার মত অবস্থা যার আছে, সে তার ভাইদের অভাব দেখেও যদি চোখ বন্ধ করে রাখে তবে কেমন করে তার অন্তরে ঈশ্বরের প্রতি ভালবাসা থাকতে পারে?
18. সন্তানেরা, আমরা যেন শুধু মুখের ভালবাসা না দেখিয়ে কাজের মধ্য দিয়ে সত্যিকারের ভালবাসা দেখাই।
19-20. এতে আমরা জানতে পারব যে, আমরা সত্যের। তা ছাড়া কোন ব্যাপারে যদি আমাদের অন্তর আমাদের দোষী করে তবে ঈশ্বরের সামনে আমাদের অন্তরকে আমরা সান্ত্বনা দিতে পারব। ঈশ্বর আমাদের অন্তর থেকে মহান এবং তিনি সব কিছুই জানেন।
21. প্রিয় সন্তানেরা, আমাদের অন্তর যদি আমাদের দোষী না করে তবে ঈশ্বরের সামনে আমাদের সাহস থাকবে।
22. তার ফলে আমরা যা কিছু চাইব তা তাঁর কাছ থেকে পাব, কারণ তিনি যে সব আদেশ দিয়েছেন সেগুলো আমরা পালন করি এবং তিনি যে সব কাজে সন্তুষ্ট হন আমরা তা-ই করি।