10. যে তার ভাইকে ভালবাসে সে আলোতে থাকে এবং তার মধ্যে উছোট খাওয়ার কোন কারণ নেই।
11. কিন্তু যে তার ভাইকে ঘৃণা করে সে অন্ধকারে আছে এবং অন্ধকারেই চলাফেরা করছে। সে জানে না সে কোথায় যাচ্ছে, কারণ অন্ধকার তার চোখ অন্ধ করে দিয়েছে।
12. ছেলেমেয়েরা, খ্রীষ্টের জন্য তোমাদের পাপ ক্ষমা করা হয়েছে বলেই আমি তোমাদের কাছে লিখছি।
13. পিতারা, সেই প্রথম থেকেই যিনি আছেন তোমরা তাঁকে জেনেছ বলেই তোমাদের কাছে লিখছি। যুবকেরা, শয়তানের উপর তোমরা জয়লাভ করেছ বলেই তোমাদের কাছে লিখছি।
14. ছেলেমেয়েরা, আমি তোমাদের কাছে লিখলাম, কারণ তোমরা পিতা ঈশ্বরকে জান। পিতারা, আমি তোমাদের কাছে লিখলাম, কারণ সেই প্রথম থেকেই যিনি আছেন তোমরা তাঁকে জেনেছ। যুবকেরা, আমি তোমাদের কাছে লিখলাম, কারণ তোমরা বলবান এবং ঈশ্বরের বাক্য তোমাদের অন্তরে রয়েছে, আর তোমরা শয়তানের উপর জয়লাভ করেছ।
15. তোমরা জগৎ এবং জগতের কোন কিছু ভালবেসো না। যদি কেউ জগৎকে ভালবাসে তবে সে পিতাকে ভালবাসে না,
16. কারণ জগতের মধ্যে যা কিছু আছে-দেহের কামনা, চোখের লোভ এবং সাংসারিক বিষয়ে অহংকার-এর কোনটাই পিতার কাছ থেকে আসে না, জগৎ থেকেই আসে।
17. জগৎ ও জগতের কামনা-বাসনা শেষ হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু ঈশ্বরের ইচ্ছা যে পালন করে সে চিরকাল থাকবে।
18. সন্তানেরা, এ-ই শেষ সময়। তোমরা তো শুনেছ যে, খ্রীষ্ট-শত্রু আসছে, কিন্তু তাঁর আরও অনেক শত্রু এরই মধ্যে এসে গেছে। তাই আমরা বুঝতে পারছি যে, এ-ই শেষ সময়।
19. খ্রীষ্টের এই শত্রুরা আমাদের মধ্য থেকে বের হয়ে গেছে। তারা কিন্তু আমাদের লোক ছিল না। যদি তারা আমাদেরই হত তবে আমাদের সংগেই থাকত, কিন্তু তারা বের হয়ে গেছে বলে বুঝা যাচ্ছে, তারা কেউই আমাদের নয়।
20. তোমরা কিন্তু সেই পবিত্রজনের কাছ থেকে অভিষেক পেয়েছ, অর্থাৎ পবিত্র আত্মাকে পেয়েছ এবং তোমরা সকলে সত্যকে জানতে পেরেছ।
21. সত্যকে জান না বলে যে আমি তোমাদের কাছে লিখলাম তা নয়, কিন্তু তোমরা সত্যকে জান এবং এ-ও জান যে, সত্য থেকে মিথ্যা আসে না; আর সেইজন্যই আমি তোমাদের কাছে লিখলাম।
22. যে বলে, যীশু মশীহ নন, সে মিথ্যাবাদী ছাড়া আর কি? পিতা ও পুত্রকে যে অস্বীকার করে সে-ই তো খ্রীষ্টের শত্রু।
23. পুত্রকে যে অস্বীকার করে তার সংগে পিতার কোন সম্বন্ধ নেই, কিন্তু পুত্রকে যে স্বীকার করে তার সংগে পিতারও সম্বন্ধ আছে।