5. সেইজন্য প্রভুর আসবার আগে, অর্থাৎ সেই ঠিক করা সময়ের আগে তোমরা কোন কিছুরই দোষ ধরতে যেয়ো না। অন্ধকারে যা লুকানো আছে তিনিই তখন তা আলোতে আনবেন এবং মানুষের অন্তরের গোপন উদ্দেশ্যগুলোও প্রকাশ করবেন। সেই সময়ে ঈশ্বরের কাছ থেকেই যে যার পাওনা প্রশংসা পাবে।
6. ভাইয়েরা, তোমাদের উপকারের জন্য আমি আমার নিজের আর আপল্লোর উদাহরণ দিয়ে এই সব কথা বললাম, যেন তোমরা আমাদের কাছ থেকে শিখতে পার যে, পবিত্র শাস্ত্রে যা লেখা আছে তার বাইরে যেতে নেই। তাহলে তোমরা একজনকে ফেলে আর একজনকে নিয়ে অহংকারে ফুলে উঠবে না।
7. তুমি যে অন্যদের চেয়ে বিশেষ কিছু তা তো কেউ মনে করে না। তোমার এমন কি আছে যা তুমি দান হিসাবে পাও নি? আর যদি তুমি তা পেয়েই থাক তবে পাও নি বলে কেন গর্ব করছ?
8. তোমাদের দেখে মনে হচ্ছে তোমরা আগেই সব কিছু পেয়ে গেছ, আগেই ধনী হয়েছ, আর আমাদের বাদ দিয়েই রাজা হয়ে বসে আছ। অবশ্য তোমরা রাজা হলে ভালই হত, তাহলে আমরাও তোমাদের সংগে রাজা হতে পারতাম।
9. মেরে ফেলা হবে বলে যাদের মিছিলের শেষে রাখা হয়, আমার মনে হয় ঈশ্বর আমাদের, অর্থাৎ প্রেরিত্দের ঠিক তেমনি সকলের শেষে রেখেছেন। আমরা সারা জগতের কাছে, অর্থাৎ স্বর্গদূত আর লোকদের কাছে যেন ঠাট্টার পাত্র হয়েছি।
10. আমরা খ্রীষ্টের জন্য মূর্খ হয়েছি, আর তোমরা খ্রীষ্টের সংগে যুক্ত হয়ে বুদ্ধিমান হয়েছ। আমরা দুর্বল কিন্তু তোমরা বলবান। তোমরা অনেক সম্মান পেয়েছ আর আমরা অসম্মান পেয়েছি।
11. এই মুহূর্ত পর্যন্তও আমরা খিদে আর পিপাসায় কষ্ট পাচ্ছি। আমাদের কাপড়ের অভাব আছে, আমাদের সংগে নিষ্ঠুর ব্যবহার করা হচ্ছে, আমাদের ঘর- বাড়ী নেই।
12. আমরা নিজের হাতে কঠিন পরিশ্রম করছি। যখন লোকে আমাদের গালাগালি দেয় তখন আমরা তাদের মংগল কামনা করি; যখন তারা আমাদের কষ্ট দেয় তখন আমরা তা সহ্য করি;
13. যখন তারা আমাদের নিন্দা করে তখন নম্রভাবে আমরা তাদের উত্তর দিই। এখনও পর্যন্ত আমরা জগতের আবর্জনার মত, দুনিয়ার জঞ্জাল হয়েই রয়েছি।
14. আমি তোমাদের লজ্জা দেবার জন্য এই সব লিখছি না, বরং আমার প্রিয় সন্তান হিসাবে সাবধান করবার জন্যই লিখছি।
15. খ্রীষ্টের বিষয়ে শিক্ষা দেবার লোক হয়তো তোমাদের হাজার হাজার থাকতে পারে, কিন্তু পিতা তোমাদের অনেক নেই; আমিই সুখবরের মধ্য দিয়ে খ্রীষ্টিয় জীবনে তোমাদের পিতা হয়েছি।
16. সেইজন্যই আমি বিশেষভাবে তোমাদের অনুরোধ করছি, আমি যা করি তোমরাও তা-ই কর;