29. কিন্তু মৃতদের জন্য যারা বাপ্তিস্ম গ্রহণ করে তাদের কি হবে? মৃতদের যদি জীবিত করে তোলা না-ই হয় তবে কেন তারা মৃতদের জন্য বাপ্তিস্ম গ্রহণ করে?
30. আর কেনই বা আমরা সব সময় বিপদের মুখে পড়ছি?
31. ভাইয়েরা, আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশুর কাজে তোমাদের নিয়ে আমার যে গর্ব, সেই গর্বে আমি নিশ্চয় করে বলছি যে, প্রত্যেক দিনই আমি মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছি।
32. ইফিষে বুনো জানোয়ারদের সংগে আমাকে যে লড়াই করতে হয়েছিল, তা যদি কেবল জাগতিক উদ্দেশ্য নিয়েই করে থাকি তবে তাতে আমার কি লাভ হয়েছে? মৃতদের যদি না-ই জীবিত করে তোলা হয় তবে চলতি কথা মতে, “এস, আমরা খাওয়া-দাওয়া করি, কারণ কালকে আমরা মরে যাব।” তোমরা ভুল কোরো না।
33. কথায় বলে, “খারাপ সংগী ভাল লোককেও খারাপ করে দেয়।”
34. কাজেই তোমরা তোমাদের মনকে জাগিয়ে তোল এবং আর পাপ কোরো না। তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ ঈশ্বরকে চেনেই না; আমি তোমাদের লজ্জা দেবার জন্য এই কথা বলছি।
35. কেউ হয়তো বলবে, “মৃতদের কেমন করে জীবিত করে তোলা হবে? কেমন দেহ নিয়েই বা তারা উঠবে?”
36. তুমি তো মুর্খ! তুমি নিজে যে বীজ লাগাও তা না মরলে তো চারা গজিয়ে ওঠে না।
37. তোমার লাগানো বীজ থেকে যে চারা হয় তা তুমি লাগাও না বরং একটা মাত্র বীজই লাগাও-সেই বীজ গমের হোক বা অন্য কোন শস্যের হোক।
38. কিন্তু ঈশ্বর নিজের ইচ্ছামতই সেই বীজকে দেহ দিয়ে থাকেন। তিনি প্রত্যেক বীজকেই তার উপযুক্ত দেহ দান করে থাকেন।
39. সব মাংসই এক রকম নয়। মানুষের মাংস এক রকম, পশুর এক রকম, পাখীর এক রকম এবং মাছের এক রকম।
40. মহাকাশে অনেক দেহ আছে, জগতেও অনেক দেহ আছে, কিন্তু মহাকাশের দেহগুলোর উজ্জ্বলতা এক রকম এবং জগতের দেহগুলোর উজ্জ্বলতা আর এক রকম।
41. সূর্যের উজ্জ্বলতা এক রকম, চাঁদের এক রকম এবং তারাগুলোর আর এক রকম। এমন কি, উজ্জ্বলতার দিক থেকে একটা তারা অন্য আর একটার চেয়ে আলাদা।
42. মৃতদের জীবিত হয়ে ওঠাও ঠিক সেই রকম। দেহ কবর দিলে পর তা নষ্ট হয়ে যায়, কিন্তু সেই দেহ এমন অবস্থায় জীবিত করে তোলা হবে যা আর কখনও নষ্ট হবে না।
43. তা অসম্মানের সংগে মাটিতে দেওয়া হয়, কিন্তু সম্মানের সংগে উঠানো হবে; দুর্বল অবস্থায় মাটিতে দেওয়া হয়, কিন্তু শক্তিতে উঠানো হবে;
44. সাধারণ দেহ মাটিতে দেওয়া হয়, কিন্তু অসাধারণ দেহ উঠানো হবে।যখন সাধারণ দেহ আছে তখন অসাধারণ দেহও আছে।