18. ঈশ্বর যেমন ভাবে চেয়েছেন ঠিক তেমন ভাবেই দেহের অংশগুলোকে তিনি এক এক করে দেহের মধ্যে বসিয়েছেন।
19. যদি সব অংশগুলো একই রকম হত তবে দেহ কোথায় থাকত?
20. অংশ অনেক বটে কিন্তু দেহ একটিই।
21. চোখ হাতকে বলতে পারে না, “তোমাকে আমার দরকার নেই,” আবার মাথা পা দু’টিকে বলতে পারে না, “তোমাদের আমার দরকার নেই।”
22. আসলে দেহের যে অংশগুলোকে দুর্বল বলে মনে হয় সেগুলোই বেশী দরকারী।
23. দেহের যে অংশগুলোকে আমরা কম সম্মানের যোগ্য বলে মনে করি সেই অংশগুলোকে বেশী সম্মান দেখাই। যে অংশগুলোকে বাইরে দেখানো যায় না সেগুলোকে আমরা যত্নের সংগে ঢেকে রাখি,
24. কিন্তু যে অংশগুলো বাইরে দেখানো যায় সেগুলো আর ঢাকবার দরকার হয় না। দেহের যে অংশগুলোর কোন সম্মান নেই ঈশ্বর সেগুলোকে অনেক বেশী সম্মান দান করেছেন এবং সমস্ত অংশগুলোকে একসংগে যুক্ত করেছেন,
25. যেন দেহ ভাগ হয়ে না যায় বরং অংশগুলো যেন একে অন্যের জন্য সমান ভাবে চিন্তা করে। যদি একটা অংশের কষ্ট হয় তবে তার সংগে সমস্ত অংশই কষ্ট পায়।
26. যদি একটা অংশ সম্মান পায় তবে সমস্ত অংশই তার সংগে আনন্দিত হয়।
27. তোমরাই খ্রীষ্টের দেহ আর এক একজন সেই দেহের এক একটি অংশ।