11. অন্য লোকেরা যাতে দেখে শিখতে পারে সেইজন্যই তাঁদের উপর এই সব ঘটেছিল। আর আমরা যারা সমস্ত যুগের শেষ সময়ে এসে পড়েছি, সেই আমাদের সাবধান করবার জন্যই এই সব লেখা হয়েছে।
12. এইজন্য যদি কেউ মনে করে সে শক্তভাবে দাঁড়িয়ে আছে তবে সে সাবধান হোক যেন পড়ে না যায়।
13. মানুষের জীবনে যে সব পরীক্ষা হয়ে থাকে তা ছাড়া আর অন্য কোন পরীক্ষা তো তোমাদের উপর হয় নি। ঈশ্বর বিশ্বাসযোগ্য; সহ্যের অতিরিক্ত পরীক্ষা তিনি তোমাদের উপর হতে দেবেন না, বরং পরীক্ষার সংগে সংগে তা থেকে বের হয়ে আসবার একটা পথও তিনি করে দেবেন যেন তোমরা তা সহ্য করতে পার।
14. এইজন্য আমার প্রিয় বন্ধুরা, তোমরা প্রতিমাপূজা থেকে পালিয়ে যাও।
15. তোমাদের বুদ্ধিমান জেনেই আমি এই সব কথা বলছি। আমি যা বলি তা তোমরা নিজেরা বিচার করে দেখ।
16. প্রভুর ভোজের সময়ে ধন্যবাদ দিয়ে যে আশীর্বাদের পেয়ালা থেকে আমরা খাই, সেটা কি খ্রীষ্টের রক্তের অংশ গ্রহণ করবার মত নয়? আর যে রুটি আমরা টুকরা করে খাই তাও কি খ্রীষ্টের দেহের অংশ গ্রহণ করবার মত নয়?
17. আমরা অনেকে হলেও একই দেহ, কারণ মাত্র একটাই রুটি আছে, আর আমরা সবাই সেই একটা রুটিরই অংশ গ্রহণ করি।
18. ইস্রায়েল জাতির কথা চিন্তা কর। তাদের মধ্যে যারা উৎসর্গের জিনিস খেয়ে থাকে তারা কি সেই বেদীর সব কিছুতে অংশ গ্রহণ করে না?
19. আমার এই কথাতে কি এটাই বুঝা যায় যে, প্রতিমার কাছে উৎসর্গ করা খাবার বিশেষ কিছু বা প্রতিমা বিশেষ কিছু?
20. তা নয়, বরং আমি বলছি, অযিহূদীরা যা উৎসর্গ করে তা ঈশ্বরের কাছে করে না, মন্দ আত্মাদের কাছেই করে। আমি চাই না যে, মন্দ আত্মাদের সংগে তোমাদের কোন যোগাযোগ-সম্বন্ধ থাকে।
21. প্রভুর পেয়ালা আর মন্দ আত্মাদের পেয়ালা, এই দুই পেয়ালা থেকেই তোমরা খেতে পার না। প্রভুর টেবিলের উপরে আর মন্দ আত্মাদের টেবিলের উপরে যা আছে, এই দু’য়েরই অংশ তোমরা গ্রহণ করতে পার না।
22. এটা করে কি আমরা সত্যিই প্রভুর অন্তরের জ্বালা জাগিয়ে তুলতে চাইছি? আমরা কি তাঁর চেয়ে বলবান?