31. আমি তোমাদের গ্রাম ও শহরগুলো এবং উপাসনার ঘরগুলো ধ্বংস করে ফেলব। তোমাদের উৎসর্গের গন্ধ আমি গ্রহণ করব না।
32. আমি তোমাদের দেশ এমন ধ্বংসের অবস্থায় ফেলে রাখব যা দেখে তোমাদের শত্রু-বাসিন্দারাও আঁত্কে উঠবে।
33. বিভিন্ন জাতির মধ্যে আমি তোমাদের ছড়িয়ে রাখব এবং তলোয়ার হাতে তোমাদের পিছনে পিছনে তাড়া করব। তোমাদের দেশের সব জমি, শহর ও গ্রাম ধ্বংস হয়ে পড়ে থাকবে।
34. “যখন তোমরা তোমাদের শত্রুদের দেশে থাকবে তখন ধ্বংস হয়ে পড়ে থাকা তোমাদের সেই দেশটা তার পাওনা সব বিশ্রাম-বছর ভোগ করতে থাকবে। হ্যাঁ, তখন তোমাদের দেশটা বিশ্রাম পাবে এবং তার পাওনা বিশ্রাম-বছরগুলো ভোগ করবে।
35. তোমরা নিজেরা দেশে বাস করবার সময় তোমাদের জমিগুলো বিশ্রাম-বছরগুলোতেও বিশ্রাম পায় নি বলে যখন দেশ ধ্বংস হয়ে পড়ে থাকবে তখন জমিগুলো বিশ্রাম পাবে।
36. তোমাদের মধ্যে যারা শত্রুদের দেশে বেঁচে থাকবে তাদের অন্তরে আমি এমন ভয় ঢুকিয়ে দেব যে, বাতাসে পাতা নড়বার শব্দেও তারা ছুটে পালাবে। যুদ্ধের ভয়ে যেমন করে মানুষ ছুটে পালায় তেমনি করেই তারা ছুটে পালাবে। পিছনে কেউ তাড়া করে না গেলেও তারা ছুটতে গিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যাবে।
37. কেউ তাদের পিছনে তাড়া না করলেও যুদ্ধের হাত থেকে বাঁচবার জন্য ছুটে যাওয়া লোকের মত করে দৌড়াতে গিয়ে তারা একে অন্যের উপর পড়বে। শত্রুদের সামনে তোমরা দাঁড়াতে পারবে না।
38. বিভিন্ন জাতির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে তোমরা মারা যাবে, শত্রুদের দেশ তোমাদের গিলে খাবে।
39. তার পরেও তোমাদের মধ্যে যারা সেখানে পড়ে থাকবে তারা তাদের নিজেদের এবং পূর্বপুরুষদের দোষের দরুন শেষ হয়ে যেতে থাকবে।
40-41. “আমার প্রতি অবিশ্বস্ততা ও বিরুদ্ধতার জন্য আমি তাদের বিরুদ্ধে গিয়ে শত্রুদের দেশে তাদের নিয়ে যাব। কিন্তু সেখানে যদি তারা নিজেদের ও তাদের পূর্বপুরুষদের সেই সব দোষ স্বীকার করে ও তাদের অবাধ্য অন্তর নরম করে এবং তাদের দোষের শাস্তি গ্রহণ করে,
42. তাহলে আমি যাকোব, ইস্হাক ও অব্রাহামের সংগে আমার ব্যবস্থার কথা এবং তাদের দেশের কথা মনে করব।
43. বাধ্য হয়ে দেশ ছেড়ে চলে যাবার পরে ধ্বংস হয়ে পড়ে থাকা তাদের দেশটা তার পাওনা সব বিশ্রাম-বছর ভোগ করতে থাকবে। আমার আইন-কানুন অগ্রাহ্য এবং নিয়ম ঘৃণা করবার দরুন দোষের শাস্তি তাদের পেতেই হবে।