42. ইস্রায়েলীয়েরা আমারই দাস; আমিই তাদের মিসর দেশ থেকে বের করে এনেছি; তাই আর কারও দাস হিসাবে তাদের বিক্রি করা চলবে না।
43. তোমরা কেউ কারও প্রতি নিষ্ঠুর ব্যবহার কোরো না; তোমরা তোমাদের ঈশ্বরকে ভয় করে চলবে।
44. “তোমাদের আশেপাশে যে জাতিগুলো থাকবে তাদের মধ্য থেকে তোমরা দাস-দাসী কিনে নিতে পারবে।
45. তোমাদের মধ্যে বাস করা অন্য জাতির লোকদের মধ্য থেকে এবং তাদের বংশের যারা তোমাদের দেশে জন্মেছে তাদের মধ্য থেকেও তোমরা নিজের সম্পত্তি হিসাবে দাস-দাসী নিতে পারবে।
46. এই সব দাস-দাসীদের তোমরা সম্পত্তির অংশ হিসাবে ছেলেমেয়েদের দিয়ে যেতে পারবে। তোমরা তাদের সারা জীবন দাস হিসাবে রাখতে পারবে, কিন্তু তোমাদের নিজের জাতি ইস্রায়েলীয়দের প্রতি তোমরা নিষ্ঠুর ব্যবহার করতে পারবে না।
47. “তোমাদের মধ্যে কোন পরদেশী বাসিন্দা যদি ধনী হয়ে ওঠে আর তোমাদের কেউ যদি গরীব অবস্থায় পড়ে তার কাছে কিম্বা তার বংশেরও কারও কাছে নিজেকে বিক্রি করে দেয়,
48. তবে নিজেকে ছাড়িয়ে নেবার অধিকার তার থাকবে। তার নিজের কোন ভাই তাকে ছাড়িয়ে নিতে পারবে।
49. তা ছাড়া কাকা বা জেঠা কিম্বা কাকাত-জেঠাত ভাই কিম্বা বংশের এমন কেউ যার সংগে তার রক্তের সম্বন্ধ আছে সে-ও তাকে ছাড়িয়ে নিতে পারবে। অবস্থার উন্নতি করতে পারলে সে নিজেই নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে পারবে।
50. যে বছর সে নিজেকে বিক্রি করবে সেই বছর থেকে আরম্ভ করে ফিরে পাওয়ার বছর পর্যন্ত কত বছর হয় সেটা সে আর তার মালিক হিসাব করে দেখবে। সেই কয় বছর একজন মজুরের যা পাওনা হবে সেই হিসাবে তার মুক্তি-মূল্য ঠিক করতে হবে।
51. ফিরে পাওয়ার বছর আসতে যদি অনেক বছর বাকী থেকে যায় তবে যে দামে সে নিজেকে বিক্রি করেছে সেই দামের একটা মোটা অংশ নিজেকে ছাড়িয়ে নেবার জন্য তার দিতে হবে।
52. ফিরে পাওয়ার বছর আসতে যদি অল্প কয়েক বছর বাকী থাকে তবে হিসাব করে সেইমত টাকা দিয়ে সে নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে পারবে।
53. বছর হিসাবে রাখা মজুরের মত করে তাকে দেখতে হবে এবং তোমাদের নজর রাখতে হবে যাতে তার মালিক তার প্রতি নিষ্ঠুর ব্যবহার না করে।
54. এগুলোর কোন উপায়েই যদি তাকে ছাড়িয়ে নেওয়া না হয় তবে তাকে ও তার ছেলেমেয়েদের ফিরে পাওয়ার বছরে ছেড়ে দিতেই হবে।
55. ইস্রায়েলীয়েরা একমাত্র আমারই দাস। আমিই তাদের মিসর দেশ থেকে বের করে এনেছি; তারা আমারই দাস। আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।