35. “তোমাদের কোন ইস্রায়েলীয় ভাই যদি গরীব অবস্থায় পড়ে নিজের খাওয়া-পরার ব্যবস্থা করতে না পারে, তবে যাতে সে তোমাদের মধ্যেই বাস করতে পারে সেইজন্য পরদেশী বাসিন্দাকে যেভাবে সাহায্য করা হয় তাকেও সেইভাবে সাহায্য করতে হবে।
36. তোমরা তার কাছ থেকে কোন রকম সুদ নিতে পারবে না, বরং লোকটি যাতে তোমাদের মধ্যে বাস করতে পারে সেইজন্য তোমাদের ঈশ্বরকে তোমরা ভয় করে চলবে।
37. তবে টাকা ধার দিলে কোন সুদ নেওয়া চলবে না এবং তার কাছে কোন খাবার জিনিস বিক্রি করলে কোন লাভ নেওয়া চলবে না।
38. আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর। কনান দেশ দেবার জন্য এবং তোমাদের ঈশ্বর হওয়ার জন্য আমিই মিসর দেশ থেকে তোমাদের বের করে এনেছি।
39. “তোমাদের কোন ইস্রায়েলীয় ভাই যদি গরীব অবস্থায় পড়ে নিজেকে তোমাদের কারও কাছে বিক্রি করে দেয় তবে তোমরা তাকে দাসের মত খাটাবে না।
40. অন্য জাতির মজুরের সংগে, অর্থাৎ অন্য জাতির বাসিন্দার সংগে যে রকম ব্যবহার করা হয় তার সংগে সেই রকমই ব্যবহার করতে হবে। সে তার জন্য ফিরে পাওয়ার বছর পর্যন্ত কাজ করবে।
41. তারপর তাকে ও তার ছেলেমেয়েদের ছেড়ে দিতে হবে। সে তখন তার নিজের বংশের ও পূর্বপুরুষদের জমিতে ফিরে যাবে।
42. ইস্রায়েলীয়েরা আমারই দাস; আমিই তাদের মিসর দেশ থেকে বের করে এনেছি; তাই আর কারও দাস হিসাবে তাদের বিক্রি করা চলবে না।
43. তোমরা কেউ কারও প্রতি নিষ্ঠুর ব্যবহার কোরো না; তোমরা তোমাদের ঈশ্বরকে ভয় করে চলবে।
44. “তোমাদের আশেপাশে যে জাতিগুলো থাকবে তাদের মধ্য থেকে তোমরা দাস-দাসী কিনে নিতে পারবে।
45. তোমাদের মধ্যে বাস করা অন্য জাতির লোকদের মধ্য থেকে এবং তাদের বংশের যারা তোমাদের দেশে জন্মেছে তাদের মধ্য থেকেও তোমরা নিজের সম্পত্তি হিসাবে দাস-দাসী নিতে পারবে।
46. এই সব দাস-দাসীদের তোমরা সম্পত্তির অংশ হিসাবে ছেলেমেয়েদের দিয়ে যেতে পারবে। তোমরা তাদের সারা জীবন দাস হিসাবে রাখতে পারবে, কিন্তু তোমাদের নিজের জাতি ইস্রায়েলীয়দের প্রতি তোমরা নিষ্ঠুর ব্যবহার করতে পারবে না।
47. “তোমাদের মধ্যে কোন পরদেশী বাসিন্দা যদি ধনী হয়ে ওঠে আর তোমাদের কেউ যদি গরীব অবস্থায় পড়ে তার কাছে কিম্বা তার বংশেরও কারও কাছে নিজেকে বিক্রি করে দেয়,
48. তবে নিজেকে ছাড়িয়ে নেবার অধিকার তার থাকবে। তার নিজের কোন ভাই তাকে ছাড়িয়ে নিতে পারবে।