7. এই সাত দিনের প্রথম দিনে পবিত্র মিলন-সভা হবে এবং সেই দিন তোমাদের কোন পরিশ্রমের কাজ করা চলবে না।
8. এই সাত দিনের প্রত্যেক দিন সদাপ্রভুর উদ্দেশে তোমাদের একটা করে আগুনে-করা উৎসর্গের অনুষ্ঠান করতে হবে। সপ্তম দিনে তোমাদের পবিত্র মিলন-সভা হবে এবং সেই দিন তোমরা কোন পরিশ্রমের কাজ করতে পারবে না।
9-10. সদাপ্রভু মোশিকে ইস্রায়েলীয়দের আরও বলতে বললেন, “আমি যে দেশ তোমাদের দিতে যাচ্ছি সেখানে যাবার পরে যতবার তোমরা যবের ফসল তুলবে ততবার প্রথমে কাটা ফসলের একটা আঁটি পুরোহিতের কাছে নিয়ে যাবে।
11. পুরোহিত সেই আঁটি নিয়ে সদাপ্রভুর সামনে দোলাবে। তাতে সদাপ্রভু তোমাদের উপর সন্তুষ্ট হবেন। পুরোহিতকে তা দোলাতে হবে বিশ্রামবারের পরের দিন।
12. পুরোহিত যেদিন সেই আঁটি দোলাবে সেই দিন সদাপ্রভুর উদ্দেশে পোড়ানো-উৎসর্গ হিসাবে এক বছরের একটা খুঁতহীন ভেড়ার বাচ্চা তোমাদের উৎসর্গ করতে হবে।
13. তার সংগে শস্য-উৎসর্গ হিসাবে তেলের ময়ান দেওয়া তিন কেজি ছ’শো গ্রাম মিহি ময়দা উৎসর্গ করতে হবে। এটা সদাপ্রভুর উদ্দেশে আগুনে-করা উৎসর্গ, যার গন্ধে সদাপ্রভু খুশী হন। এর সংগে ঢালন-উৎসর্গ হিসাবে এক লিটার আংগুর-রস দিতে হবে।
14. তোমাদের ঈশ্বরের কাছে এই উৎসর্গ করবার দিন পর্যন্ত তোমাদের এই নতুন শস্য থেকে খাওয়া চলবে না। তা ছাড়া তা থেকে তৈরী কোন রুটি কিম্বা তা আগুনে ঝল্সে নিয়েও খাওয়া চলবে না। তোমরা যেখানেই বাস কর না কেন বংশের পর বংশ ধরে এটা হবে তোমাদের জন্য একটা স্থায়ী নিয়ম।
15. “বিশ্রামবারের পরের দিন, অর্থাৎ যেদিন তোমরা দোলন-উৎসর্গের জন্য শস্যের আঁটি নিয়ে আসবে, সেই দিন থেকে গুণে পর পর সাতটা সপ্তা বাদ দিতে হবে।
16. এই সপ্তম সপ্তার বিশ্রামবারের পরের দিন, অর্থাৎ দোলন-উৎসর্গের পর পঞ্চাশ দিনের দিন সদাপ্রভুর উদ্দেশে তোমরা নতুন গম উৎসর্গের অনুষ্ঠান করবে।
17. তোমরা বাড়ী থেকে সদাপ্রভুর উদ্দেশে দোলন-উৎসর্গ হিসাবে তোমাদের প্রথমে তোলা ফসলের কিছু অংশ নিয়ে আসবে। সেই দোলন-উৎসর্গের জিনিস হবে সাড়ে তিন কেজি মিহি ময়দার তৈরী খামি দেওয়া দু’টা রুটি।
18. এই রুটির সংগে সাতটা এক বছরের খুঁতহীন ভেড়ার বাচ্চা, একটা ষাঁড় এবং দু’টা ভেড়া আনতে হবে। এই পশুগুলো দিয়ে সদাপ্রভুর উদ্দেশে একটা পোড়ানো-উৎসর্গের অনুষ্ঠান করতে হবে, আর তার সংগে থাকবে তার সংগেকার নিয়মিত শস্য-উৎসর্গ এবং ঢালন-উৎসর্গ। এগুলো সব আগুনে-করা উৎসর্গ, যার গন্ধে সদাপ্রভু খুশী হন।
19. তারপর তোমরা পাপ-উৎসর্গ হিসাবে একটা ছাগল এবং যোগাযোগ-উৎসর্গ হিসাবে এক বছরের দু’টা ভেড়ার বাচ্চা উৎসর্গ করবে।
20. পুরোহিত সদাপ্রভুর সামনে দোলন-উৎসর্গ হিসাবে সেই দু’টা ভেড়ার বাচ্চা এবং প্রথমে তোলা ফসলের তৈরী রুটি নিয়ে দোলাবে। এগুলো সদাপ্রভুর উদ্দেশে উৎসর্গ করা পবিত্র জিনিস যা পুরোহিতের পাওনা।
21. সেই দিন তোমরা একটা পবিত্র মিলন-সভা ঘোষণা করবে। সেই দিন তোমাদের কোন পরিশ্রমের কাজ করা চলবে না। তোমরা যেখানেই বাস কর না কেন বংশের পর বংশ ধরে এটা হবে তোমাদের জন্য একটা স্থায়ী নিয়ম।
22. “তোমরা যখন তোমাদের জমির ফসল কাটবে তখন জমির কিনারার ফসলগুলো তোমরা কাটবে না এবং পড়ে থাকা শস্য কুড়িয়ে নেবে না। সেগুলো গরীব এবং দেশে বাস করা অন্য জাতির লোকদের জন্য ফেলে রাখতে হবে। আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।”
25. সেই দিন তোমাদের কোন পরিশ্রমের কাজ করা চলবে না। সেই দিন সদাপ্রভুর উদ্দেশে আগুনে-করা উৎসর্গের অনুষ্ঠান করতে হবে।”
26. সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
27. “এই সপ্তম মাসের দশ দিনের দিনটা হবে পাপ ঢাকা দেবার দিন। সেই দিন তোমাদের একটা পবিত্র মিলন-সভা হবে এবং নিজেদের অন্তর ভেংগেচুরে কষ্টস্বীকার করতে হবে। তোমাদের সেই দিন সদাপ্রভুর উদ্দেশে আগুনে-করা উৎসর্গের অনষ্ঠান করতে হবে।
28. সেই দিন তোমাদের কোন কাজ করা চলবে না, কারণ সেটাই হল পাপ ঢাকা দেবার দিন। তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে সেই দিন তোমাদের পাপ ঢাকা দেওয়া হবে।
29. সেই দিন যে কষ্টস্বীকার করবে না তাকে তার জাতির মধ্য থেকে মুছে ফেলতে হবে।
30. সেই দিন যদি কেউ কোন কাজ করে তবে আমি তাকে তার জাতির মধ্য থেকে ধ্বংস করে ফেলব।
31. সেই দিন তোমাদের কোন কাজই করা চলবে না। তোমরা যেখানেই বাস কর না কেন বংশের পর বংশ ধরে এটাই হল তোমাদের জন্য একটা স্থায়ী নিয়ম।
32. সেই দিনটা হবে তোমাদের জন্য একটা বিশ্রামের দিন। সেই দিন তোমাদের কষ্টস্বীকার করতে হবে। সেই মাসের নবম দিনের সন্ধ্যা থেকে শুরু করে পরের দিনের সন্ধ্যা পর্যন্ত তোমরা এই বিশ্রামের দিন পালন করবে।”
35. এই সাত দিনের প্রথম দিনে তোমাদের পবিত্র মিলন-সভা হবে। সেই দিন তোমাদের কোন পরিশ্রমের কাজ করা চলবে না।
36. এই সাত দিনের প্রত্যেক দিন সদাপ্রভুর উদ্দেশে আগুনে-করা উৎসর্গের অনুষ্ঠান করতে হবে। তারপর অষ্টম দিনেও তোমাদের পবিত্র মিলন-সভা হবে এবং সদাপ্রভুর উদ্দেশে আগুনে-করা উৎসর্গের অনুষ্ঠান করতে হবে। এটা শেষ দিনের বিশেষ সভা; সেই দিন তোমাদের কোন পরিশ্রমের কাজ করা চলবে না।
37. “এই পর্বগুলো সবই সদাপ্রভু ঠিক করে দিয়েছেন। তোমরা যাতে এই সময় আগুনে-করা উৎসর্গের অনুষ্ঠান করতে পার সেইজন্য তোমাদের পবিত্র মিলন-সভা হবে। যে সব উৎসর্গ তোমাদের করতে হবে তা হল পোড়ানো-উৎসর্গ, শস্য-উৎসর্গ, পশু-উৎসর্গ এবং ঢালন-উৎসর্গ। এই সব উৎসর্গগুলো নির্দিষ্ট করা দিনে তোমাদের করতে হবে।
38. যে উৎসর্গগুলোর কথা আগেই বলা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে এই উৎসর্গগুলো ধরা হবে না। সেগুলো হল, সদাপ্রভুর বিশ্রামবারের উৎসর্গ, সদাপ্রভুকে দেওয়া অন্যান্য সমস্ত দান, মানত এবং নিজের ইচ্ছায় করা উৎসর্গ।
39. “সপ্তম মাসের পনেরো দিনের দিন জমি থেকে ফসল তুলে নেওয়ার পর সদাপ্রভুর উদ্দেশে সাত দিন ধরে এই কুঁড়ে-ঘরের পর্ব পালন করতে হবে। এই সাত দিনের প্রথম দিনটা এবং অষ্টম দিনটা হবে তোমাদের বিশ্রামের দিন।
40. প্রথম দিনে তোমাদের নিজেদের জন্য গাছের সবচেয়ে ভাল ফল, খেজুর পাতা, উইলো গাছ এবং অন্যান্য পাতা ভরা গাছের ডাল নিয়ে আসবে। তারপর সাত দিন ধরে তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে আনন্দ-উৎসব করবে।
41. প্রত্যেক বছর সাত দিন ধরে সদাপ্রভুর উদ্দেশে তোমাদের এই পর্ব পালন করতে হবে। বংশের পর বংশ ধরে এটা হবে তোমাদের জন্য একটা স্থায়ী নিয়ম। সপ্তম মাসে তোমাদের এই পর্ব পালন করতে হবে।
42. সাত দিন তোমরা কুঁড়ে-ঘরে বাস করবে। ইস্রায়েল বংশে যারা জন্মেছে তাদের সবাইকেই এই সময় কুঁড়ে-ঘরে থাকতে হবে।
43. এর মধ্য দিয়ে তোমাদের বংশধরেরা জানবে যে, আমি মিসর দেশ থেকে ইস্রায়েলীয়দের বের করে এনে কুঁড়ে-ঘরে বাস করিয়েছিলাম। আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।”
44. এর পর মোশি গিয়ে সদাপ্রভুর ঠিক করে দেওয়া সব পর্বের কথা ইস্রায়েলীয়দের জানালেন।