3. সপ্তার ছয় দিন তোমরা কাজ করতে পারবে কিন্তু সপ্তম দিনটা হবে বিশ্রামবার, অর্থাৎ পবিত্র মিলন-সভার দিন। এই দিন তোমরা কোন কাজ করবে না। তোমরা যেখানেই বাস কর না কেন এই দিনটা হবে সদাপ্রভুর উদ্দেশে বিশ্রামবার।”
4. সদাপ্রভুর যে সব নির্দিষ্ট করা পর্ব, অর্থাৎ যে সব পবিত্র মিলন-সভা তোমরা সেগুলোর নির্দিষ্ট দিনে ঘোষণা করবে তা এই:
5. বছরের প্রথম মাসের চৌদ্দ তারিখের সন্ধ্যাবেলা সদাপ্রভুর উদ্দেশে উদ্ধার-পর্ব শুরু হবে।
6. সেই মাসেরই পনেরো তারিখে সদাপ্রভুর উদ্দেশে খামিহীন রুটির পর্ব শুরু হবে। সাত দিন পর্যন্ত তোমাদের খামিহীন রুটি খেতে হবে।
7. এই সাত দিনের প্রথম দিনে পবিত্র মিলন-সভা হবে এবং সেই দিন তোমাদের কোন পরিশ্রমের কাজ করা চলবে না।
8. এই সাত দিনের প্রত্যেক দিন সদাপ্রভুর উদ্দেশে তোমাদের একটা করে আগুনে-করা উৎসর্গের অনুষ্ঠান করতে হবে। সপ্তম দিনে তোমাদের পবিত্র মিলন-সভা হবে এবং সেই দিন তোমরা কোন পরিশ্রমের কাজ করতে পারবে না।
11. পুরোহিত সেই আঁটি নিয়ে সদাপ্রভুর সামনে দোলাবে। তাতে সদাপ্রভু তোমাদের উপর সন্তুষ্ট হবেন। পুরোহিতকে তা দোলাতে হবে বিশ্রামবারের পরের দিন।
12. পুরোহিত যেদিন সেই আঁটি দোলাবে সেই দিন সদাপ্রভুর উদ্দেশে পোড়ানো-উৎসর্গ হিসাবে এক বছরের একটা খুঁতহীন ভেড়ার বাচ্চা তোমাদের উৎসর্গ করতে হবে।
13. তার সংগে শস্য-উৎসর্গ হিসাবে তেলের ময়ান দেওয়া তিন কেজি ছ’শো গ্রাম মিহি ময়দা উৎসর্গ করতে হবে। এটা সদাপ্রভুর উদ্দেশে আগুনে-করা উৎসর্গ, যার গন্ধে সদাপ্রভু খুশী হন। এর সংগে ঢালন-উৎসর্গ হিসাবে এক লিটার আংগুর-রস দিতে হবে।
14. তোমাদের ঈশ্বরের কাছে এই উৎসর্গ করবার দিন পর্যন্ত তোমাদের এই নতুন শস্য থেকে খাওয়া চলবে না। তা ছাড়া তা থেকে তৈরী কোন রুটি কিম্বা তা আগুনে ঝল্সে নিয়েও খাওয়া চলবে না। তোমরা যেখানেই বাস কর না কেন বংশের পর বংশ ধরে এটা হবে তোমাদের জন্য একটা স্থায়ী নিয়ম।
15. “বিশ্রামবারের পরের দিন, অর্থাৎ যেদিন তোমরা দোলন-উৎসর্গের জন্য শস্যের আঁটি নিয়ে আসবে, সেই দিন থেকে গুণে পর পর সাতটা সপ্তা বাদ দিতে হবে।
16. এই সপ্তম সপ্তার বিশ্রামবারের পরের দিন, অর্থাৎ দোলন-উৎসর্গের পর পঞ্চাশ দিনের দিন সদাপ্রভুর উদ্দেশে তোমরা নতুন গম উৎসর্গের অনুষ্ঠান করবে।
17. তোমরা বাড়ী থেকে সদাপ্রভুর উদ্দেশে দোলন-উৎসর্গ হিসাবে তোমাদের প্রথমে তোলা ফসলের কিছু অংশ নিয়ে আসবে। সেই দোলন-উৎসর্গের জিনিস হবে সাড়ে তিন কেজি মিহি ময়দার তৈরী খামি দেওয়া দু’টা রুটি।
18. এই রুটির সংগে সাতটা এক বছরের খুঁতহীন ভেড়ার বাচ্চা, একটা ষাঁড় এবং দু’টা ভেড়া আনতে হবে। এই পশুগুলো দিয়ে সদাপ্রভুর উদ্দেশে একটা পোড়ানো-উৎসর্গের অনুষ্ঠান করতে হবে, আর তার সংগে থাকবে তার সংগেকার নিয়মিত শস্য-উৎসর্গ এবং ঢালন-উৎসর্গ। এগুলো সব আগুনে-করা উৎসর্গ, যার গন্ধে সদাপ্রভু খুশী হন।