21. কিন্তু সেই লোককে সদাপ্রভুর উদ্দেশে তার দোষ-উৎসর্গ হিসাবে মিলন-তাম্বুর দরজার কাছে একটা ভেড়া নিয়ে আসতে হবে।
22. দোষ-উৎসর্গের সেই ভেড়াটা দিয়ে পুরোহিতকে সদাপ্রভুর সামনে তার সেই পাপ ঢাকা দিতে হবে। তাতে তার সেই পাপ ক্ষমা করা হবে।
23. “তোমাদের দেশে গিয়ে যদি তোমরা কোন ফলের গাছ লাগাও তবে তার ফল তোমাদের তিন বছর পর্যন্ত নিষেধ করা ফল বলে ধরতে হবে। ঐ সময়ের মধ্যে ঐ ফল খাওয়া তোমাদের চলবে না।
24. চতুর্থ বছরে গাছের সমস্ত ফল সদাপ্রভুর গৌরবের জন্য তাঁর উদ্দেশে উৎসর্গ করতে হবে।
25. পঞ্চম বছর থেকে তোমরা সেই গাছের ফল খেতে পারবে। এতে তোমাদের গাছে প্রচুর ফলন হবে। আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
26. “রক্ত সুদ্ধ কোন মাংস খাওয়া চলবে না। লক্ষণ-বিদ্যা কিম্বা মায়াবিদ্যা ব্যবহার করা চলবে না।
27. মাথার দু’পাশের চুল কাটা বা দাড়ির আগা ছাঁটা চলবে না।
28. মৃত লোকদের জন্য শোক-প্রকাশ করতে গিয়ে দেহের কোন জায়গা ক্ষত করা চলবে না। দেহে কোন উল্কি-চিহ্ন দেওয়া চলবে না। আমি সদাপ্রভু।
29. “নিজের মেয়েকে বেশ্যা বানিয়ে তাকে নীচে নামানো চলবে না। তা করলে দেশে বেশ্যাগিরি বেড়ে যাবে এবং শেষে দেশ নোংরামিতে ভরে যাবে।
30. আমার আদেশ করা বিশ্রামের দিনগুলো পালন করতে হবে এবং আমার আবাস-তাম্বুর প্রতি ভক্তি রাখতে হবে। আমি সদাপ্রভু।
31. “যারা ভূতের মাধ্যম হয় কিম্বা যারা মন্দ আত্মার সংগে সম্বন্ধ রাখে তাদের কাছে যাওয়া চলবে না, কারণ তারা তোমাদের অশুচি করে তুলবে। আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
32. “যারা বৃদ্ধ তারা কাছে আসলে উঠে দাঁড়াতে হবে এবং তাদের সম্মান করতে হবে। তোমরা তোমাদের ঈশ্বরকে ভক্তিপূর্ণ ভয় করবে। আমি সদাপ্রভু।
33. “তোমাদের দেশে তোমাদের মধ্যে বাস করা অন্য জাতির লোকের সংগে খারাপ ব্যবহার করা চলবে না।
34. নিজের জাতির লোকের সংগে যেমন ব্যবহার করা হয় তার সংগে তেমনই ব্যবহার করতে হবে। তাকে নিজের মত করে ভালবাসতে হবে, কারণ তোমরাও মিসরীয়দের মধ্যে অন্য জাতির লোক ছিলে। আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
35. “বিচারে রায় দিতে অথবা কোন কিছু লম্বায় কিম্বা ওজনে কিম্বা পরিমাণে কতখানি তা মাপতে গিয়ে তোমরা অন্যায় কোরো না।
36. তোমাদের দাঁড়িপাল্লা, বাটখারা এবং অন্যান্য মাপের জিনিস যেন ঠিক হয়। আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর। মিসর দেশ থেকে আমিই তোমাদের বের করে এনেছি।
37. আমার সমস্ত নিয়ম তোমাদের পালন করতে হবে এবং সমস্ত আইন-কানুন মেনে চলতে হবে। আমি সদাপ্রভু।”