45. তখন ঘরটার পাথর, লেপে দেওয়া মাটি এবং কাঠ সবই ভেংগে ফেলতে হবে এবং শহরের বাইরে কোন অশুচি জায়গায় নিয়ে সেগুলো ফেলে দিতে হবে।
46. “সাত দিন বন্ধ রাখবার সময় যদি কেউ ঘরটার ভিতরে যায় তবে সে সেই দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি অবস্থায় থাকবে।
47. যদি কেউ সেই ঘরে খায় বা ঘুমায় তবে তাকে তার কাপড়-চোপড় ধুয়ে ফেলতে হবে।
48. “তবে সেই ঘরটা লেপে দেওয়ার পরে পুরোহিত তা পরীক্ষা করতে এসে যদি দেখে ছাৎলা ছড়িয়ে পড়ে নি তাহলে ঘরটা সে শুচি বলে ঘোষণা করবে, কারণ সেই ঘরটা আর ছাৎলা-ধরা অবস্থায় নেই।
49. ঘরটা শুচি করবার জন্য পুরোহিতকে দু’টা পাখী, কিছু এরস কাঠ, লাল রংয়ের সুতা এবং এসোব গাছের ডাল নিতে হবে।
50. তারপর মাটির পাত্রে রাখা স্রোত থেকে তুলে আনা জলের উপরে একটা পাখী তাকে কাটতে হবে;
51. আর সেই এরস কাঠ, এসোবের ডাল, লাল রংয়ের সুতা এবং জ্যান্ত পাখীটা নিয়ে কেটে ফেলা অন্য পাখীটার রক্ত-মেশা স্রোতের জলে ডুবাতে হবে এবং ঘরটার উপরে সাতবার তা ছিটিয়ে দিতে হবে।
52. পাখীর রক্ত, স্রোতের জল, জ্যান্ত পাখী, এরস কাঠ, এসোবের ডাল এবং লাল রংয়ের সুতা দিয়ে সে সেই ঘরটা শুচি করবে।
53. তারপর সেই জ্যান্ত পাখীটা সে শহরের বাইরে খোলা মাঠে ছেড়ে দেবে। এইভাবে সে ঘরটার অশুচিতা ঢাকা দিলে পর ঘরটা শুচি হবে।”
54-56. কোন চর্মরোগ, চুলকানি, কাপড় বা ঘরের ক্ষয়-করা ছাৎলা, গায়ের চামড়ার কোন ফুলে ওঠা জায়গা, ফুসকুড়ি কিম্বা চক্চকে কোন অংশ সম্বন্ধে এই হল নিয়ম।
57. এই সব দিক থেকে মানুষ বা জিনিস কখন শুচি আর কখন অশুচি হয় এই নিয়মের মধ্যে সেই নির্দেশ রয়েছে।এই হল খারাপ চর্মরোগ ও ক্ষয়-করা ছাৎলা সম্বন্ধে নিয়ম।