3. পুরোহিত ছাউনির বাইরে গিয়ে তাকে পরীক্ষা করে দেখবে। যদি দেখা যায় সেই চর্মরোগ থেকে লোকটি সুস্থ হয়েছে,
4. তবে তাকে শুচি করবার জন্য পুরোহিত দু’টা জ্যান্ত শুচি পাখী, কিছু এরস কাঠ, লাল রংয়ের সুতা এবং এসোব গাছের ডাল নিয়ে আসতে বলবে।
5. তারপর পুরোহিত আদেশ দেবে যেন স্রোত থেকে তুলে আনা এবং মাটির পাত্রে রাখা জলের উপরে সেই পাখী দু’টার একটাকে কেটে ফেলা হয়।
6. পুরোহিত জ্যান্ত পাখীটা, এরস কাঠ, লাল রংয়ের সুতা এবং এসোব গাছের ডাল স্রোতের জলের উপরে কেটে ফেলা সেই পাখীটার রক্তে ডুবাবে।
7. যাকে সেই চর্মরোগ থেকে শুচি করা হবে তার উপর পুরোহিত সাতবার সেই রক্ত ছিটিয়ে দিয়ে তাকে শুচি বলে ঘোষণা করবে। এর পর পুরোহিতকে খোলা মাঠে সেই জ্যান্ত পাখীটাকে ছেড়ে দিতে হবে।
8. যাকে শুচি করা হবে সে তার কাপড়-চোপড় ধুয়ে ফেলবে, গা ও মাথার সমস্ত লোম ও চুল কামাবে এবং জলে স্নান করে ফেলবে। তারপর সে শুচি হবে। এর পর সে ছাউনিতে ঢুকতে পারবে কিন্তু তাকে সাত দিন তার নিজের তাম্বুর বাইরে থাকতে হবে।
9. সেই সাত দিনের শেষ দিন তাকে তার দেহের সব চুল, অর্থাৎ তার মাথার চুল, দাড়ি, ভুরু এবং দেহের লোম কামিয়ে ফেলতে হবে। তারপর তাকে তার কাপড়-চোপড় ধুয়ে জলে স্নান করে ফেলতে হবে, আর তারপর সে সম্পূর্ণ শুচি হবে।
21-22. “কিন্তু লোকটি যদি গরীব হয় আর এই সব জিনিস আনা তার ক্ষমতায় না কুলায় তবুও দোষ-উৎসর্গের জন্য একটা ভেড়ার বাচ্চা তাকে আনতে হবে, আর সেটাই পুরোহিত তার অশুচিতা ঢাকা দেবার উদ্দেশ্যে দোলাবে। এর সংগে লোকটিকে শস্য-উৎসর্গের জন্য এক কেজি আটশো গ্রাম তেল মিশানো মিহি ময়দা, পৌনে দুই লিটার তেল ও দু’টা ঘুঘু না হয় দু’টা কবুতর আনতে হবে, যা তার ক্ষমতার বাইরে নয়। পাখী দু’টার একটা পাপ-উৎসর্গের জন্য ও অন্যটা পোড়ানো-উৎসর্গের জন্য।
23. তারপর আট দিনের দিন শুচি হবার জন্য লোকটিকে এই সব জিনিস এনে মিলন-তাম্বুর দরজার কাছে সদাপ্রভুর সামনে পুরোহিতের কাছে দিতে হবে।
24. পুরোহিত দোষ-উৎসর্গের ভেড়াটা এবং ঐ তেল নিয়ে দোলন-উৎসর্গ হিসাবে সদাপ্রভুর সামনে দোলাবে।
25. সেই উৎসর্গের জন্য কেটে নেওয়া ভেড়াটার কিছু রক্ত নিয়ে পুরোহিত লোকটির ডান কানের লতিতে এবং ডান হাত ও ডান পায়ের বুড়ো আংগুলে লাগিয়ে দেবে।
26-27. সে তার বাঁ হাতের তালুতে কিছুটা তেল ঢেলে নেবে আর ডান হাতের বুড়ো আংগুলের পরের আংগুলটা দিয়ে কিছুটা তেল তুলে নিয়ে সাতবার তা সদাপ্রভুর সামনে ছিটিয়ে দেবে।
28. লোকটির ডান কানের লতি এবং ডান হাত ও ডান পায়ের বুড়ো আংগুলের যে সব জায়গায় পুরোহিত দোষ-উৎসর্গের পশুর রক্ত লাগিয়েছে সেই সব জায়গাতেই সেই তেলের কিছুটা নিয়ে সে লাগিয়ে দেবে।
29. সদাপ্রভুর সামনে তার অশুচিতা ঢাকা দেবার জন্য সে তার হাতের বাকী তেলটুকু লোকটির মাথায় দেবে।
30-31. পুরোহিত তার কাছ থেকে সেই ঘুঘু না হয় কবুতর নেবে, যা তার ক্ষমতার বাইরে নয়। তারপর সেই পাখী দু’টার একটা নিয়ে সে পাপ-উৎসর্গ হিসাবে এবং অন্যটা পোড়ানো-উৎসর্গ হিসাবে শস্য-উৎসর্গের সংগে উৎসর্গ করবে। পুরোহিত এইভাবে সদাপ্রভুর সামনে লোকটির অশুচিতা ঢাকা দেবে।”
32. যাদের খারাপ চর্মরোগ হয়েছে অথচ শুচি হওয়ার জন্য যে উৎসর্গের জিনিস আনবার কথা বলা হয়েছে তা আনবার ক্ষমতা নেই তাদের জন্য এই হল নিয়ম।
33. তারপর সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন,
34. “যে কনান দেশটা সম্পত্তি হিসাবে আমি তোমাদের দিতে যাচ্ছি সেই দেশে তোমরা ঢুকবার পর সেখানকার কোন বাড়িতে আমি যদি ছড়িয়ে পড়া ক্ষয়-করা ছাৎলা পড়বার ব্যবস্থা করি,
35. তবে ঘরের মালিক পুরোহিতের কাছে গিয়ে বলবে, ‘আমার বাড়িতে ছাৎলার মত কি একটা দেখতে পাচ্ছি।’
36. পুরোহিত তা দেখবার জন্য ঘরে ঢুকবার আগেই আদেশ দেবে যেন ঘর থেকে সব কিছু বের করে ফেলা হয়, যাতে ঘরের কোন কিছুই অশুচি বলে ঘোষণা করা না হয়। তারপর পুরোহিত সেই ঘরে ঢুকে তা পরীক্ষা করে দেখবে।