1. তারপর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
2. “খারাপ চর্মরোগ হয়েছে এমন কোন লোকের শুচি হবার দিনে এই নিয়ম পালন করতে হবে। তাকে পুরোহিতের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
3. পুরোহিত ছাউনির বাইরে গিয়ে তাকে পরীক্ষা করে দেখবে। যদি দেখা যায় সেই চর্মরোগ থেকে লোকটি সুস্থ হয়েছে,
4. তবে তাকে শুচি করবার জন্য পুরোহিত দু’টা জ্যান্ত শুচি পাখী, কিছু এরস কাঠ, লাল রংয়ের সুতা এবং এসোব গাছের ডাল নিয়ে আসতে বলবে।
5. তারপর পুরোহিত আদেশ দেবে যেন স্রোত থেকে তুলে আনা এবং মাটির পাত্রে রাখা জলের উপরে সেই পাখী দু’টার একটাকে কেটে ফেলা হয়।
6. পুরোহিত জ্যান্ত পাখীটা, এরস কাঠ, লাল রংয়ের সুতা এবং এসোব গাছের ডাল স্রোতের জলের উপরে কেটে ফেলা সেই পাখীটার রক্তে ডুবাবে।
19-20. “যে লোকটিকে অশুচি অবস্থা থেকে শুচি করা হবে পুরোহিত পাপ-উৎসর্গের পশুটা উৎসর্গ করে তার অশুচিতা ঢাকা দেবে। তারপর সে পোড়ানো-উৎসর্গের পশুটা কেটে শস্য-উৎসর্গের জিনিসের সংগে সেটা বেদীর উপর উৎসর্গ করে তার অশুচিতা ঢাকা দেবার ব্যবস্থা করবে, আর এতে সে শুচি হবে।
21-22. “কিন্তু লোকটি যদি গরীব হয় আর এই সব জিনিস আনা তার ক্ষমতায় না কুলায় তবুও দোষ-উৎসর্গের জন্য একটা ভেড়ার বাচ্চা তাকে আনতে হবে, আর সেটাই পুরোহিত তার অশুচিতা ঢাকা দেবার উদ্দেশ্যে দোলাবে। এর সংগে লোকটিকে শস্য-উৎসর্গের জন্য এক কেজি আটশো গ্রাম তেল মিশানো মিহি ময়দা, পৌনে দুই লিটার তেল ও দু’টা ঘুঘু না হয় দু’টা কবুতর আনতে হবে, যা তার ক্ষমতার বাইরে নয়। পাখী দু’টার একটা পাপ-উৎসর্গের জন্য ও অন্যটা পোড়ানো-উৎসর্গের জন্য।
26-27. সে তার বাঁ হাতের তালুতে কিছুটা তেল ঢেলে নেবে আর ডান হাতের বুড়ো আংগুলের পরের আংগুলটা দিয়ে কিছুটা তেল তুলে নিয়ে সাতবার তা সদাপ্রভুর সামনে ছিটিয়ে দেবে।
30-31. পুরোহিত তার কাছ থেকে সেই ঘুঘু না হয় কবুতর নেবে, যা তার ক্ষমতার বাইরে নয়। তারপর সেই পাখী দু’টার একটা নিয়ে সে পাপ-উৎসর্গ হিসাবে এবং অন্যটা পোড়ানো-উৎসর্গ হিসাবে শস্য-উৎসর্গের সংগে উৎসর্গ করবে। পুরোহিত এইভাবে সদাপ্রভুর সামনে লোকটির অশুচিতা ঢাকা দেবে।”
54-56. কোন চর্মরোগ, চুলকানি, কাপড় বা ঘরের ক্ষয়-করা ছাৎলা, গায়ের চামড়ার কোন ফুলে ওঠা জায়গা, ফুসকুড়ি কিম্বা চক্চকে কোন অংশ সম্বন্ধে এই হল নিয়ম।