29. “যদি কোন পুরুষ বা স্ত্রীলোকের মাথা বা দাড়ির মধ্যে রোগের লক্ষণ দেখা দেয়,
30. তবে পুরোহিত তাকে পরীক্ষা করে দেখবে। যদি তার মনে হয় তা চামড়া ছাড়িয়ে গভীরে চলে গেছে এবং তার মধ্যেকার লোমও হলুদ আর সরু হয়ে গেছে তবে সে সেই লোককে অশুচি বলে ঘোষণা করবে, কারণ ওটা এক রকম চুলকানি- মাথা এবং দাড়ির খারাপ চর্মরোগ।
31. কিন্তু রোগ পরীক্ষা করবার সময় পুরোহিতের যদি মনে হয় যে, তা চামড়া ছাড়িয়ে গভীরে চলে যায় নি কিন্তু তার মধ্যে যে লোম রয়েছে তা কালো নয়, তবে সেই রোগীকে সে সাত দিন পর্যন্ত অন্যদের থেকে সরিয়ে রাখবে।
32. তারপর সেই সাত দিনের শেষ দিনে পুরোহিত আবার তা পরীক্ষা করে যদি দেখে সেই চুলকানি ছড়িয়ে পড়ে নি এবং তার মধ্যেকার লোমও হলুদ নয় আর মনে হয় তা চামড়া ছাড়িয়ে গভীরে যায় নি,
33. তবে চুলকানির জায়গাটা বাদ দিয়ে সেই লোকের বাদবাকী চুল বা লোম কামিয়ে ফেলতে হবে। এর পর পুরোহিত আরও সাত দিন তাকে অন্যদের থেকে সরিয়ে রাখবে।
34. ঐ সাত দিনের শেষ দিন পুরোহিত তার সেই চুলকানি আবার পরীক্ষা করে যদি দেখে যে, সেটা চামড়ার উপরে ছড়িয়ে পড়ে নি আর মনে হয় সেটা চামড়া ছাড়িয়ে গভীরে যায় নি, তবে পুরোহিত তাকে শুচি বলে ঘোষণা করবে। তারপর তাকে কাপড়-চোপড় ধুয়ে ফেলতে হবে আর তখন সে শুচি হবে।
35. তাকে শুচি বলে ঘোষণা করবার পর যদি তার গায়ে সেই চুলকানি ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়,
36. তবে পুরোহিত তাকে আবার দেখবে। যদি দেখা যায় সেই চুলকানি ছড়িয়ে পড়েছে তবে লোম হলুদ হয়েছে কি না তা ভাল করে পরীক্ষা করে দেখবার দরকার নেই, কারণ লোকটি অশুচি।
37. কিন্তু পুরোহিত যদি মনে করে তা যেমন ছিল তেমনই আছে আর সেই চুলকানির জায়গায় কালো লোম গজিয়েছে তাহলে বুঝতে হবে সেটা ভাল হয়ে গেছে। সে শুচি হয়েছে এবং পুরোহিত তাকে শুচি বলে ঘোষণা করবে।
38. “কোন পুরুষ বা স্ত্রীলোকের চামড়ার উপর যদি কোন চক্চকে, অর্থাৎ সাদা চক্চকে দাগ দেখা দেয়,
39. তাহলে পুরোহিত তা পরীক্ষা করে দেখবে। যদি সেই দাগগুলো ফ্যাকাশে সাদা হয় তাহলে বুঝতে হবে চামড়ার উপরে শ্বেতী হয়েছে আর তাতে কোন ক্ষতি হবে না, সে শুচি।
40. “যদি কোন লোকের চুল উঠে গিয়ে মাথায় টাক পড়ে যায় তবে সে অশুচি হবে না।