5. শাফনও জাবর কাটে কিন্তু তার খুর চেরা নয়, সেইজন্য তা-ও তোমাদের পক্ষে অশুচি।
6. খরগোস জাবর কাটলেও তার খুর চেরা নয়, সেইজন্য তা-ও অশুচি।
7. শূকরের খুর একেবারে দু’ভাগে চেরা, কিন্তু সে জাবর কাটে না, তাই তা তোমাদের পক্ষে অশুচি।
8. এগুলোর মাংস তোমরা খাবে না এবং তাদের মৃতদেহও ছোঁবে না। এগুলো তোমাদের পক্ষে অশুচি।
9. “সমুদ্র ও নদীর জলে যে সব প্রাণী বাস করে তাদের মধ্যে যাদের ডানা এবং গায়ে আঁশ আছে সেগুলো তোমরা খেতে পারবে।
10. কিন্তু যেগুলোর ডানা আর আঁশ নেই সেগুলো ঘৃণার জিনিস বলে তোমাদের ধরে নিতে হবে- তা জলে ঝাঁক বেঁধে ঘুরে বেড়ানো প্রাণীই হোক কিম্বা অন্যান্য প্রাণীই হোক।
11. ঘৃণার জিনিস বলে সেগুলো খাওয়া তোমাদের চলবে না এবং সেগুলোর মৃতদেহও ঘৃণার জিনিস বলে তোমাদের ধরে নিতে হবে।
12. জলে বাস করে অথচ ডানা আর আঁশ নেই এমন সব প্রাণীদের ঘৃণার জিনিস বলে ধরে নিতে হবে।
13. “কতগুলো পাখীও আছে যেগুলো ঘৃণার জিনিস বলে তোমাদের ধরে নিতে হবে, আর সেইজন্য সেগুলো তোমাদের খাওয়া চলবে না। সেগুলো হল ঈগল, শকুন, কালো শকুন,
17. কালপেঁচা, হাড়গিলা, হুতুম পেঁচা,
18. সাদা পেঁচা, মরু-পেঁচা, সিন্ধুবাজ,
19. সারস, সব রকমের বক, হুপ্পু পাখী আর বাদুড়।
20. “যে সব চার পায়ে হাঁটা পোকা উড়ে বেড়ায় সেগুলোকে ঘৃণার জিনিস বলে ধরে নিতে হবে।
21. তবে তার মধ্যে যেগুলোর হাঁটু আছে বলে মাটির উপর লাফিয়ে বেড়াতে পারে সেগুলোর কোন কোনটা তোমরা খেতে পারবে।
22. সেগুলো হল সব রকমের পংগপাল, বাঘা-ফড়িং, ঝিঁঝি কিম্বা ঘাস-ফড়িং।
23. কিন্তু অন্য যে সব উড়ে বেড়ানো পোকার চারটা করে পা আছে সেগুলোকে ঘৃণার জিনিস বলে ধরে নিতে হবে।
24. “এগুলো দিয়ে তোমরা অশুচি হবে। যে কেউ তাদের মৃতদেহ ছোঁবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি অবস্থায় থাকবে।
25. যদি কেউ তাদের কোন একটার মৃতদেহ হাত দিয়ে তোলে তবে তাকে তার কাপড়-চোপড় ধুয়ে ফেলতে হবে আর সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি অবস্থায় থাকবে।
26. “যে সব পশুর খুর চেরা হলেও পুরোপুরি দুই ভাগে ভাগ করা নয় কিম্বা যে সব পশু জাবর কাটে না সেগুলো তোমাদের পক্ষে অশুচি। যে এগুলো ছোঁবে সে অশুচি হবে।
27. চার পায়ে হাঁটা জীবজন্তুর মধ্যে যেগুলো থাবায় ভর করে চলে সেগুলো তোমাদের পক্ষে অশুচি। যে তাদের মৃতদেহ ছোঁবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি অবস্থায় থাকবে।