13. যীশু তাঁদের বললেন, “তোমরাই ওদের খেতে দাও।”তাঁরা বললেন, “কিন্তু আমাদের কাছে কেবল পাঁচটা রুটি আর দু’টা মাছ ছাড়া আর কিছুই নেই। কেবল যদি আমরা গিয়ে এই সব লোকদের জন্য খাবার কিনে আনতে পারতাম তবেই তাদের খাওয়ানো যেত।”
14. সেখানে কমবেশি পাঁচ হাজার পুরুষ লোক ছিল।যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, “পঞ্চাশজন পঞ্চাশজন করে এক এক দলে লোকদের বসিয়ে দাও।”
15. শিষ্যেরা সেই ভাবেই সব লোকদের বসিয়ে দিলেন।
16. তখন যীশু সেই পাঁচটা রুটি আর দু’টা মাছ নিয়ে স্বর্গের দিকে তাকালেন এবং সেগুলোর জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেবার পর টুকরা টুকরা করলেন। তারপর তিনি লোকদের দেবার জন্য সেগুলো শিষ্যদের হাতে দিলেন।
17. লোকেরা সবাই পেট ভরে খেল। পরে যে টুকরাগুলো পড়ে রইল তা বারোটা টুকরিতে তুলে নেওয়া হল।
18. একবার যীশু একটা নির্জন জায়গায় প্রার্থনা করছিলেন। তাঁর সংগে কেবল তাঁর শিষ্যেরাই ছিলেন। তিনি তাঁদের জিজ্ঞাসা করলেন, “আমি কে, এই বিষয়ে লোকে কি বলে?”
19. শিষ্যেরা বললেন, “কেউ কেউ বলে আপনি বাপ্তিস্মদাতা যোহন; কেউ কেউ বলে এলিয়; আবার কেউ কেউ বলে অনেক দিন আগেকার একজন নবী বেঁচে উঠেছেন।”
20. যীশু তাঁদের বললেন, “কিন্তু তোমরা কি বল, আমি কে?”পিতর বললেন, “আপনি ঈশ্বরের সেই মশীহ।”
21. তখন যীশু তাঁদের সাবধান করলেন এবং আদেশ দিলেন যেন তাঁরা কাউকে এই কথা না বলেন।
22. তিনি তাঁদের আরও বললেন, মনুষ্যপুত্রকে অনেক দুঃখভোগ করতে হবে। বৃদ্ধনেতারা, প্রধান পুরোহিতেরা এবং ধর্ম-শিক্ষকেরা তাঁকে অগ্রাহ্য করবেন। তাঁকে মেরে ফেলা হবে এবং তিন দিনের দিন তাঁকে মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠতে হবে।
23. তারপর তিনি সবাইকে বললেন, “যদি কেউ আমার পথে আসতে চায়, তবে সে নিজের ইচ্ছামত না চলুক; প্রত্যেক দিন নিজের ক্রুশ বয়ে নিয়ে সে আমার পিছনে আসুক।
24. যে কেউ তার নিজের জন্য বেঁচে থাকতে চায় সে তার সত্যিকারের জীবন হারাবে; কিন্তু যে আমার জন্য তার প্রাণ হারায় সে তার সত্যিকারের জীবন রক্ষা করবে।
25. যদি কেউ সমস্ত জগৎ লাভ করে তার বিনিময়ে তার সত্যিকারের জীবন হারায় তবে তার কি লাভ হল?