35. কি হয়েছে তা দেখবার জন্য তখন লোকেরা বের হয়ে আসল। যীশুর কাছে এসে তারা দেখল, যার মধ্য থেকে মন্দ আত্মাগুলো বের হয়ে গেছে সে কাপড়-চোপড় পরে সুস্থ মনে যীশুর পায়ের কাছে বসে আছে। এ দেখে তারা ভয় পেল।
36. যারা সেই ঘটনা দেখেছিল তারা ঐ লোকদের কাছে বলল কেমন করে লোকটা সুস্থ হয়েছে।
37. তখন গাদারীয়দের এলাকার সমস্ত লোক যীশুকে তাদের কাছ থেকে চলে যেতে অনুরোধ করল, কারণ তারা ভীষণ ভয় পেয়েছিল।তখন যীশু ফিরে যাবার জন্য নৌকায় উঠলেন।
38. যে লোকটির মধ্য থেকে মন্দ আত্মাগুলো বের হয়ে গিয়েছিল সেই লোকটি যীশুকে অনুরোধ করল যেন সে তাঁর সংগে যেতে পারে। যীশু কিন্তু তাকে এই কথা বলে বাড়ী পাঠিয়ে দিলেন,
39. “তুমি বাড়ী ফিরে যাও এবং ঈশ্বর তোমার জন্য কত বড় কাজ করেছেন তা প্রচার কর।”সেই লোকটি তখন গ্রামে গেল এবং যীশু তার জন্য কত বড় কাজ করেছেন তা সমস্ত জায়গায় বলে বেড়াতে লাগল।
40. যীশু অন্য পারে ফিরে যাবার পর সেখানকার লোকেরা তাঁকে খুশী মনে গ্রহণ করল, কারণ তারা তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিল।
41. পরে যায়ীর নামে সমাজ-ঘরের একজন নেতা এসে যীশুর পায়ের উপর পড়লেন।
42. তিনি যীশুকে তাঁর বাড়ীতে আসবার জন্য কাকুতি-মিনতি করতে লাগলেন, কারণ তাঁর বারো বছরের একমাত্র মেয়েটি মরবার মত হয়েছিল।যীশু যখন যাচ্ছিলেন তখন লোকেরা তাঁর চারদিকে ভিড় করে ঠেলাঠেলি করছিল।
43. তাদের মধ্যে একজন স্ত্রীলোক বারো বছর ধরে রক্তস্রাব রোগে ভুগছিল। ডাক্তারদের পিছনে সে তার সব কিছুই খরচ করেছিল, কিন্তু কেউই তাকে ভাল করতে পারে নি।
44. সে পিছন দিক থেকে যীশুর কাছে এসে তাঁর চাদরের কিনারা ছুঁলো, আর তখনই তার রক্তস্রাব বন্ধ হল।
45. তখন যীশু বললেন, “কে আমাকে ছুঁলো?”সবাই অস্বীকার করলে পর পিতর ও তাঁর সংগীরা যীশুকে বললেন, “গুরু, লোকেরা আপনার চারপাশে চাপাচাপি করে আপনার উপর পড়ছে।”
46. তবুও যীশু বললেন, “আমি জানি কেউ আমাকে ছুঁয়েছে, কারণ আমি বুঝতে পারলাম আমার মধ্য থেকে শক্তি বের হল।”
47. সেই স্ত্রীলোকটি যখন দেখল সে ধরা পড়েছে তখন কাঁপতে কাঁপতে যীশুর সামনে সে উবুড় হয়ে পড়ল। পরে সকলের সামনেই সে যীশুকে বলল কেন সে তাঁকে ছুঁয়েছিল, আর কেমন করে সে তখনই ভাল হয়েছে।
48. এতে যীশু সেই স্ত্রীলোকটিকে বললেন, “মা, তুমি বিশ্বাস করেছ বলে ভাল হয়েছ। শান্তিতে চলে যাও।”