17. এমন কিছু লুকানো নেই যা প্রকাশিত হবে না, বা এমন কিছু গোপন নেই যা জানা যাবে না কিম্বা প্রকাশ পাবে না।
18. এইজন্য কিভাবে শুনছ সেই বিষয়ে মনোযোগ দাও, কারণ যার আছে তাকে আরও দেওয়া হবে, কিন্তু যার নেই তার যা আছে বলে সে মনে করে, তাও তার কাছে থেকে নিয়ে নেওয়া হবে।”
19. পরে যীশুর মা ও ভাইয়েরা তাঁর কাছে আসলেন কিন্তু ভিড়ের জন্য তাঁর সংগে দেখা করতে পারলেন না।
20. তখন একজন লোক তাঁকে বলল, “আপনার মা ও ভাইয়েরা আপনার সংগে দেখা করবার জন্য বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন।”
21. এতে যীশু লোকদের বললেন, “যারা ঈশ্বরের বাক্য শুনে সেইমত কাজ করে তারাই আমার মা ও আমার ভাই।”
22. একদিন যীশু ও তাঁর শিষ্যরা একটা নৌকায় উঠলেন। তিনি শিষ্যদের বললেন, “চল, আমরা সাগরের ওপারে যাই।”শিষ্যেরা নৌকা ছাড়লেন।
23. নৌকা চলতে থাকলে যীশু ঘুমিয়ে পড়লেন। সেই সময় হঠাৎ সাগরে ঝড় উঠল এবং নৌকাটা জলে পূর্ণ হতে লাগল। এতে তাঁরা খুব বিপদে পড়লেন।
24. তাঁরা যীশুর কাছে গিয়ে তাঁকে জাগিয়ে বললেন, “প্রভু, প্রভু, আমরা যে মরলাম!”তখন যীশু উঠে বাতাস ও জলের ঢেউকে ধমক্ দিলেন। তাতে বাতাস আর ঢেউ থামল এবং সব কিছু শান্ত হয়ে গেল।
25. তিনি শিষ্যদের বললেন, “তোমাদের বিশ্বাস কোথায়?”শিষ্যেরা ভক্তিপূর্ণ ভয়ে আশ্চর্য হয়ে নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতে লাগলেন, “ইনি কে, যিনি বাতাস ও জলকে আদেশ দিলে পর তারাও তাঁর কথা শোনে?”
26. এর পরে যীশু ও তাঁর শিষ্যেরা সাগর পার হয়ে গালীল প্রদেশের উল্টা দিকে গাদারীয়দের এলাকায় গেলেন।
27. তিনি যখন নৌকা থেকে নামলেন তখন সেখানকার গ্রামের একজন লোক তাঁর কাছে আসল। সেই লোকটিকে অনেকগুলো মন্দ আত্মায় পেয়েছিল বলে সে অনেক দিন ধরে কাপড়-চোপড় পরত না এবং বাড়ীতে না থেকে কবরস্থানে থাকত।
28. যীশুকে দেখে সে চিৎকার করে উঠল এবং তাঁর সামনে মাটিতে পড়ে জোরে জোরে বলল, “মহান ঈশ্বরের পুত্র যীশু, আমার সংগে আপনার কি সম্বন্ধ? দয়া করে আপনি আমাকে যন্ত্রণা দেবেন না।”
29. লোকটি এই কথা বলল কারণ যীশু সেই মন্দ আত্মাকে তার মধ্য থেকে বের হয়ে যেতে আদেশ দিয়েছিলেন। সেই মন্দ আত্মা বার বার করে লোকটিকে আঁকড়ে ধরত। যদিও তখন তার হাত-পা শিকল দিয়ে বাঁধা থাকত এবং তাকে পাহারা দেওয়া হত তবুও সে সেই শিকল ছিঁড়ে ফেলত, আর সেই মন্দ আত্মা তাকে নির্জন জায়গায় তাড়িয়ে নিয়ে যেত।