8. আমি এই কথা জানি, কারণ আমাকেও অন্যের কথামত চলতে হয় এবং সৈন্যেরাও আমার কথামত চলে। আমি একজনকে ‘যাও’ বললে সে যায়, অন্যজনকে ‘এস’ বললে সে আসে, আর আমার দাসকে ‘এটা কর’ বললে সে তা করে।”
9. এই কথা শুনে যীশু আশ্চর্য হলেন এবং যে সব লোকেরা ভিড় করে তাঁর পিছনে আসছিল তাদের দিকে ফিরে তিনি বললেন, “আমি আপনাদের বলছি, ইস্রায়েলীয়দের মধ্যেও এত বড় বিশ্বাস আমি কখনও দেখি নি।”
10. সেনাপতি যাদের পাঠিয়েছিলেন তারা তাঁর ঘরে ফিরে গিয়ে সেই দাসকে সুস্থ দেখতে পেল।
11. এর কিছু পরে যীশু নায়িন্ নামে একটা গ্রামের দিকে চললেন। তাঁর শিষ্যেরা এবং আরও অনেক লোক তাঁর সংগে সংগে যাচ্ছিলেন।
12. যখন তিনি সেই গ্রামের ফটকের কাছে পৌঁছালেন তখন লোকেরা একজন মৃত লোককে বাইরে নিয়ে যাচ্ছিল। যে লোকটি মারা গিয়েছিল সে ছিল তার মায়ের একমাত্র সন্তান, আর সেই মা-ও ছিল বিধবা। গ্রামের অনেক লোক সেই বিধবার সংগে ছিল।
13. সেই বিধবাকে দেখে প্রভু মমতায় পূর্ণ হয়ে বললেন, “আর কেঁদো না।”
14. তারপর যীশু কাছে গিয়ে খাট ছুঁলেন। এতে যারা মৃতদেহ বয়ে নিয়ে যাচ্ছিল তারা দাঁড়াল। যীশু বললেন, “যুবক, আমি তোমাকে বলছি, ওঠো।”
15. তাতে যে মারা গিয়েছিল সেই লোকটি উঠে বসল এবং কথা বলতে লাগল। যীশু তাকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিলেন।
16. এতে সকলের অন্তর ভক্তি ও ভয়ে পূর্ণ হল। তারা ঈশ্বরের গৌরব করে বলতে লাগল, “আমাদের মধ্যে একজন মহান নবী উপস্থিত হয়েছেন। ঈশ্বর দয়া করে তাঁর লোকদের দিকে মনোযোগ দিয়েছেন।”
17. যীশুর বিষয়ে এই কথা যিহূদিয়া প্রদেশ ও তার আশেপাশের সব জায়গায় ছড়িয়ে গেল।
20. সেই লোকেরা যীশুর কাছে এসে বলল, “বাপ্তিস্মদাতা যোহন আপনার কাছে আমাদের জিজ্ঞাসা করতে পাঠিয়েছেন, ‘যাঁর আসবার কথা আছে আপনিই কি তিনি, না আমরা অন্য কারও জন্য অপেক্ষা করব?”
21. তখন যীশু অনেক লোককে রোগ থেকে ও ভীষণ যন্ত্রণা থেকে সুস্থ করলেন এবং মন্দ আত্মায় পাওয়া লোকদের ভাল করলেন আর অনেক অন্ধ লোককেও দেখবার শক্তি দিলেন।