18. তখন কয়েকজন লোক একজন অবশ-রোগীকে খাটে করে বয়ে আনল। তারা তাকে ভিতরে নিয়ে গিয়ে যীশুর সামনে রাখবার চেষ্টা করল,
19. কিন্তু ভিড়ের জন্য ভিতরে যাবার পথ পেল না। তখন তারা ছাদে উঠল এবং ছাদের টালি সরিয়ে বিছানা সুদ্ধ তাকে লোকদের মাঝখানে যীশুর সামনে নামিয়ে দিল।
20. যীশু তাদের বিশ্বাস দেখে বললেন, “বন্ধু, তোমার পাপ ক্ষমা করা হল।”
21. এতে ধর্ম-শিক্ষক ও ফরীশীরা মনে মনে ভাবতে লাগলেন, “এই লোকটা কে, যে ঈশ্বরকে অপমান করছে? ঈশ্বর ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করতে পারে?”
22. তাঁরা মনে মনে কি চিন্তা করছিলেন যীশু তা বুঝতে পেরে বললেন, “আপনারা মনে মনে কেন ঐ কথা ভাবছেন?
23. কোন্টা বলা সহজ, ‘তোমার পাপ ক্ষমা করা হল,’ না ‘তুমি উঠে হেঁটে বেড়াও’?
24. কিন্তু আপনারা যেন জানতে পারেন পৃথিবীতে পাপ ক্ষমা করবার ক্ষমতা মনুষ্যপুত্রের আছে”-এই পর্যন্ত বলে তিনি সেই অবশ-রোগীকে বললেন, “আমি তোমাকে বলছি, ওঠো, তোমার বিছানা তুলে নিয়ে বাড়ী চলে যাও।”
25. সেই লোকটি তখনই সকলের সামনে উঠে দাঁড়াল এবং যে বিছানার উপরে সে শুয়ে ছিল তা তুলে নিয়ে ঈশ্বরের গৌরব করতে করতে বাড়ী চলে গেল।
26. তাতে সবাই খুব আশ্চর্য হল এবং ভক্তিপূর্ণ ভয়ে ঈশ্বরের গৌরব করে বলল, “আজ আমরা কি আশ্চর্য ব্যাপার দেখলাম!”
27. এর পরে যীশু বাইরে গেলেন এবং কর্ আদায় করবার ঘরে লেবি নামে একজন কর্-আদায়কারীকে বসে থাকতে দেখলেন। যীশু লেবিকে বললেন, “এস, আমার শিষ্য হও।”
28. তাতে লেবি উঠলেন এবং তাঁর সব কিছু ফেলে রেখে যীশুর সংগে গেলেন।
29. পরে লেবি যীশুর জন্য তাঁর বাড়ীতে একটা বড় ভোজ দিলেন। তাঁদের সংগে অনেক কর্-আদায়কারী ও অন্য লোকেরা খেতে বসল।
30. তখন ফরীশীরা ও তাঁদের দলের ধর্ম-শিক্ষকেরা বিরক্ত হয়ে যীশুর শিষ্যদের বললেন, “তোমরা কর-আদায়কারী ও খারাপ লোকদের সংগে খাওয়া-দাওয়া কর কেন?”
31. যীশু তাঁদের বললেন, “সুস্থদের জন্য ডাক্তারের দরকার নেই বরং অসুস্থদের জন্যই দরকার আছে।
32. পাপ থেকে মন ফিরাবার জন্য আমি ধার্মিকদের ডাকতে আসি নি বরং পাপীদেরই ডাকতে এসেছি।”