21. তখন যীশু লোকদের বললেন, “পবিত্র শাস্ত্রের এই কথা আজ আপনারা শুনবার সংগে সংগেই তা পূর্ণ হল।”
22. লোকেরা সবাই তাঁর প্রশংসা করল এবং তাঁর মুখে এই সব সুন্দর সুন্দর কথা শুনে আশ্চর্য হল। তারা বলল, “এ কি যোষেফের ছেলে নয়?”
23. যীশু তাদের বললেন, “আপনারা এই চলতি কথাটা নিশ্চয়ই আমাকে বলবেন, ‘ডাক্তার, নিজেকে সুস্থ কর।’ আরও বলবেন, ‘কফরনাহূমে যে সব কাজ করবার কথা আমরা শুনেছি সেই সব এখন নিজের গ্রামেও করে দেখাও।’ ”
24. তিনি আরও বললেন, “আমি আপনাদের সত্যি বলছি, কোন নবীকেই তাঁর নিজের গ্রামের লোক গ্রাহ্য করে না।
25. এই কথা সত্যি যে, এলিয়ের সময়ে যখন সাড়ে তিন বছর বৃষ্টি হয় নি এবং সমস্ত দেশে ভীষণ দুর্ভিক্ষ হয়েছিল তখন ইস্রায়েল দেশে অনেক বিধবা ছিল।
26. কিন্তু তাদের কারও কাছে এলিয়কে পাঠানো হয় নি, কেবল সীদোন এলাকার সারিফত গ্রামের বিধবা স্ত্রীলোকটির কাছে পাঠানো হয়েছিল।
27. নবী ইলীশায়ের সময়ে ইস্রায়েল দেশে অনেক চর্মরোগী ছিল, কিন্তু তাদের কাউকে সুস্থ করা হয় নি, কেবল সিরিয়া দেশের নামানকেই সুস্থ করা হয়েছিল।”
28. এই কথা শুনে সমাজ-ঘরের সমস্ত লোক রেগে আগুন হল।
29. তারা উঠে যীশুকে গ্রামের বাইরে তাড়িয়ে নিয়ে চলল, আর তাঁকে নীচে ফেলে দেবার জন্য তাদের গ্রামটা যে পাহাড়ের গায়ে ছিল সেই পাহাড়ের চূড়ায় তাঁকে নিয়ে গেল।
30. কিন্তু তিনি সেই লোকদের মধ্য দিয়েই চলে গেলেন।
31. পরে যীশু গালীল প্রদেশের কফরনাহূম শহরে গেলেন এবং বিশ্রামবারে লোকদের শিক্ষা দিলেন।