11. ভীষণ ভূমিকম্প হবে এবং ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় দুর্ভিক্ষ ও মড়ক হবে। এছাড়া আকাশে এমন সব ঘটনা ঘটবে ও চিহ্ন দেখা যাবে যা ভীষণ ও ভয়ংকর।
12. “এই সব হবার আগে লোকেরা তোমাদের ধরবে এবং তোমাদের উপর অত্যাচার করবে। বিচারের জন্য তারা তোমাদের সমাজ-ঘরে নিয়ে যাবে এবং জেলে দেবে। আমার জন্য রাজাদের ও শাসনকর্তাদের সামনে তোমাদের নেওয়া হবে,
13. আর তাতে আমার সম্বন্ধে সাক্ষ্য দেবার জন্য তোমাদের সুযোগ হবে।
14. তোমরা এখনই মনে মনে ঠিক করে ফেল, তখন নিজের পক্ষে কথা বলবার জন্য তোমরা আগে থেকে তৈরী হবে না,
15. কারণ আমি তোমাদের এমন কথা ও এমন জ্ঞান যুগিয়ে দেব যার উত্তরে তোমাদের শত্রুরা কিছু বলতেও পারবে না এবং তা অস্বীকারও করতে পারবে না।
16. তোমাদের মা-বাবা, ভাই-বন্ধু ও আত্মীয়-স্বজনেরা তোমাদের ধরিয়ে দেবে। তারা তোমাদের কাউকে কাউকে মেরেও ফেলবে।
17. আমার জন্য সবাই তোমাদের ঘৃণা করবে,
18. কিন্তু কোনমতেই তোমাদের একটা চুলও ধ্বংস হবে না।
19. তোমরা স্থির থাকলে তোমাদের সত্যিকারের জীবন পূর্ণতা লাভ করবে।
20. “যখন তোমরা দেখবে যিরূশালেমকে সৈন্যেরা ঘেরাও করেছে তখন বুঝবে যে, যিরূশালেমের ধ্বংস হবার সময় কাছে এসেছে।
21. সেই সময় যারা যিহূদিয়াতে থাকবে তারা পাহাড়ী এলাকায় পালিয়ে যাক। যারা শহরের মধ্যে থাকবে তারা শহরের বাইরে চলে যাক। যারা গ্রামের দিকে থাকবে তারা কোনমতেই শহরে না আসুক,
22. কারণ এই দিনগুলো হবে শাস্তির দিন, আর এতে পবিত্র শাস্ত্রে যা লেখা আছে তা পূর্ণ হবে।
23. তখন যারা গর্ভবতী আর যারা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ায় তাদের অবস্থা কি ভীষণই না হবে! দেশে ভীষণ কষ্ট উপস্থিত হবে এবং যিহূদী লোকদের উপরে ঈশ্বরের শাস্তি নেমে আসবে।
24. তলোয়ার দিয়ে তাদের মেরে ফেলা হবে এবং সমস্ত জাতির মধ্যে তারা বন্দী হিসাবে ছড়িয়ে থাকবে। যতদিন না অযিহূদীদের সময় পূর্ণ হয় ততদিন পর্যন্ত অযিহূদীরা যিরূশালেমকে তাদের পায়ের নীচে মাড়াতে থাকবে।
25. “তখন সূর্য, চাঁদ ও তারাগুলোর মধ্যে অনেক চিহ্ন দেখা যাবে। পৃথিবীতে সমস্ত জাতি কষ্ট পাবে এবং সমুদ্রের গর্জন ও ঢেউয়ের জন্য তারা ভীষণ অস্থির হয়ে উঠবে।
26. জগতে কি আসছে ভেবে ভয়ে লোকে অজ্ঞান হয়ে পড়বে, কারণ চাঁদ-সূর্য-তারা ইত্যাদি আর স্থির থাকবে না।
27. সেই সময় মহাশক্তি ও মহিমার সংগে মনুষ্যপুত্রকে তারা মেঘের মধ্যে আসতে দেখবে।