লূক 20:30-31-44 পবিত্র বাইবেল (SBCL)

4. বাপ্তিস্ম দেবার অধিকার যোহন ঈশ্বরের কাছ থেকে পেয়েছিলেন, না মানুষের কাছ থেকে পেয়েছিলেন?”

5. তখন তাঁরা নিজেদের মধ্যে এই আলোচনা করতে লাগলেন, “যদি আমরা বলি, ‘ঈশ্বরের কাছ থেকে,’ তবে সে বলবে, ‘তা হলে তাঁকে বিশ্বাস করেন নি কেন?’

6. কিন্তু যদি বলি, ‘মানুষের কাছ থেকে,’ তাহলে লোকেরা আমাদের পাথর মারবে, কারণ তারা যোহনকে নবী বলে বিশ্বাস করে।”

7. এইজন্য তাঁরা বললেন, “সেই অধিকার কোথা থেকে এসেছিল তা আমরা জানি না।”

8. যীশু তাঁদের বললেন, “তবে আমিও বলব না কোন্‌ অধিকারে আমি এই সব করছি।”

9. এর পরে যীশু লোকদের শিক্ষা দেবার জন্য এই কথা বললেন: “একজন লোক একটা আংগুর-ক্ষেত করলেন এবং চাষীদের কাছে সেটা ইজারা দিয়ে অনেক দিনের জন্য বিদেশে চলে গেলেন।

30-31. পরে দ্বিতীয় ও তার পরে তৃতীয় ভাই সেই বিধবা স্ত্রীকে বিয়ে করল এবং সেই একইভাবে সাতজনই ছেলেমেয়ে না রেখে মারা গেল।

32. শেষে সেই স্ত্রীলোকটিও মারা গেল।

33. তাহলে যেদিন মৃতেরা জীবিত হয়ে উঠবে সেই দিন সে কার স্ত্রী হবে? সাতজনের প্রত্যেকেই তো তাকে বিয়ে করেছিল।”

34. যীশু তাঁদের বললেন, “এই কালের লোকেরা বিয়ে করে এবং তাদের বিয়ে দেওয়া হয়।

35. কিন্তু মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে আগামী যুগে পার হয়ে যাবার যোগ্য বলে যাদের ধরা হবে, তারা বিয়ে করবে না এবং তাদের বিয়ে দেওয়াও হবে না।

36. তারা আর মরতে পারে না, কারণ তারা স্বর্গদূতদের মত। তারা ঈশ্বরের সন্তান কারণ মৃত্যু থেকে তাদের জীবিত করা হয়েছে।

37. জ্বলন্ত ঝোপের বিষয়ে যেখানে লেখা আছে সেখানে মোশি দেখিয়ে দিয়েছেন যে, মৃতেরা সত্যিই জীবিত হয়ে ওঠে। সেখানে মোশি প্রভুকে ‘অব্রাহামের ঈশ্বর, ইস্‌হাকের ঈশ্বর ও যাকোবের ঈশ্বর’ বলে ডেকেছেন।

38. কিন্তু ঈশ্বর তো মৃতদের ঈশ্বর নন, তিনি জীবিতদেরই ঈশ্বর। তাঁরই উদ্দেশ্যে সব লোক বেঁচে থাকে।”

39. তখন কয়েকজন ধর্ম-শিক্ষক বললেন, “গুরু, আপনি ভালই বলেছেন।”

40. তাঁরা আর কোন কিছু যীশুকে জিজ্ঞাসা করতে সাহস পেলেন না।

41. যীশু সেই ধর্ম-শিক্ষকদের বললেন, “লোকে কি করে বলে যে, মশীহ দায়ূদের বংশধর?

42-43. পবিত্র শাস্ত্রের গীতসংহিতা নামে বইখানাতে দায়ূদ তো নিজেই এই কথা বলেছেন,‘প্রভু আমার প্রভুকে বললেন,যতক্ষণ না আমি তোমার শত্রুদেরতোমার পায়ের তলায় রাখি,ততক্ষণ তুমি আমার ডানদিকে বস।’

44. দায়ূদ তো মশীহকে প্রভু বলে ডেকেছিলেন; তাহলে মশীহ কেমন করে দায়ূদের বংশধর হতে পারেন?”

লূক 20