24. “আমাকে একটা দীনার দেখাও। এর উপরে কার ছবি ও কার নাম আছে?”তারা বলল, “রোম-সম্রাটের।”
25. যীশু তাদের বললেন, “তা হলে যা সম্রাটের তা সম্রাটকে দাও এবং যা ঈশ্বরের তা ঈশ্বরকে দাও।”
26. লোকদের সামনে যীশু যা বলেছিলেন তাতে সেই গুপ্তচরেরা তাঁকে তাঁর কথার ফাঁদে ফেলতে পারল না। তাঁর উত্তরে আশ্চর্য হয়ে তারা চুপ হয়ে গেল।
27. সদ্দূকীদের মধ্যে কয়েকজন যীশুর কাছে আসলেন। সদ্দূকীদের মতে মৃতদের জীবিত হয়ে উঠা বলে কিছু নেই। তাঁরা যীশুকে জিজ্ঞাসা করলেন,
28. “গুরু, মোশি আমাদের জন্য এই কথা লিখে গেছেন, সন্তানহীন অবস্থায় যদি কোন লোক তার স্ত্রীকে রেখে মারা যায়, তবে তার ভাই তার স্ত্রীকে বিয়ে করে ভাইয়ের হয়ে তার বংশ রক্ষা করবে।
29. বেশ ভাল, ধরুন, সাতজন ভাই ছিল। প্রথম জন বিয়ে করে সন্তানহীন অবস্থায় মারা গেল।
30-31. পরে দ্বিতীয় ও তার পরে তৃতীয় ভাই সেই বিধবা স্ত্রীকে বিয়ে করল এবং সেই একইভাবে সাতজনই ছেলেমেয়ে না রেখে মারা গেল।
32. শেষে সেই স্ত্রীলোকটিও মারা গেল।
33. তাহলে যেদিন মৃতেরা জীবিত হয়ে উঠবে সেই দিন সে কার স্ত্রী হবে? সাতজনের প্রত্যেকেই তো তাকে বিয়ে করেছিল।”
34. যীশু তাঁদের বললেন, “এই কালের লোকেরা বিয়ে করে এবং তাদের বিয়ে দেওয়া হয়।
35. কিন্তু মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে আগামী যুগে পার হয়ে যাবার যোগ্য বলে যাদের ধরা হবে, তারা বিয়ে করবে না এবং তাদের বিয়ে দেওয়াও হবে না।
36. তারা আর মরতে পারে না, কারণ তারা স্বর্গদূতদের মত। তারা ঈশ্বরের সন্তান কারণ মৃত্যু থেকে তাদের জীবিত করা হয়েছে।
37. জ্বলন্ত ঝোপের বিষয়ে যেখানে লেখা আছে সেখানে মোশি দেখিয়ে দিয়েছেন যে, মৃতেরা সত্যিই জীবিত হয়ে ওঠে। সেখানে মোশি প্রভুকে ‘অব্রাহামের ঈশ্বর, ইস্হাকের ঈশ্বর ও যাকোবের ঈশ্বর’ বলে ডেকেছেন।
38. কিন্তু ঈশ্বর তো মৃতদের ঈশ্বর নন, তিনি জীবিতদেরই ঈশ্বর। তাঁরই উদ্দেশ্যে সব লোক বেঁচে থাকে।”
39. তখন কয়েকজন ধর্ম-শিক্ষক বললেন, “গুরু, আপনি ভালই বলেছেন।”
40. তাঁরা আর কোন কিছু যীশুকে জিজ্ঞাসা করতে সাহস পেলেন না।
41. যীশু সেই ধর্ম-শিক্ষকদের বললেন, “লোকে কি করে বলে যে, মশীহ দায়ূদের বংশধর?
42-43. পবিত্র শাস্ত্রের গীতসংহিতা নামে বইখানাতে দায়ূদ তো নিজেই এই কথা বলেছেন,‘প্রভু আমার প্রভুকে বললেন,যতক্ষণ না আমি তোমার শত্রুদেরতোমার পায়ের তলায় রাখি,ততক্ষণ তুমি আমার ডানদিকে বস।’
44. দায়ূদ তো মশীহকে প্রভু বলে ডেকেছিলেন; তাহলে মশীহ কেমন করে দায়ূদের বংশধর হতে পারেন?”