8. সক্কেয় সেখানে দাঁড়িয়ে প্রভুকে বললেন, “প্রভু, আমি আমার ধন-সম্পত্তির অর্ধেক গরীবদের দিয়ে দিচ্ছি এবং যদি কাউকে ঠকিয়ে থাকি তবে তার চারগুণ ফিরিয়ে দিচ্ছি।”
9. তখন যীশু বললেন, “এই বাড়ীতে আজ পাপ থেকে উদ্ধার আসল, কারণ এও তো অব্রাহামের বংশের একজন।
10. যারা হারিয়ে গেছে তাদের খোঁজ করতে ও পাপ থেকে উদ্ধার করতেই মনুষ্যপুত্র এসেছেন।”
11. যীশু তখন যেখানে ছিলেন সেখান থেকে যিরূশালেম বেশী দূরে ছিল না, আর যারা তাঁর কথা শুনছিল তারা ভাবছিল ঈশ্বরের রাজ্য শ্রীঘ্রই প্রকাশ পাবে। তাই যীশু তাদের শিক্ষা দেবার জন্য এই কথা বললেন:
12. “একজন উঁচু বংশের লোক রাজ-পদ নিয়ে ফিরে আসবেন বলে দূর দেশে গেলেন।
13. যাবার আগে তিনি তাঁর দশজন দাসকে ডাকলেন এবং প্রত্যেক জনকে একশো দীনার করে দিয়ে বললেন, ‘আমি ফিরে না আসা পর্যন্ত এ দিয়ে ব্যবসা কর।’
14. “তাঁর দেশের লোকেরা কিন্তু তাঁকে ঘৃণা করত। এইজন্য তারা তাঁর পিছনে লোক পাঠিয়ে খবর দিল, ‘আমরা চাই না এই লোকটা আমাদের উপর রাজত্ব করুক।’
15. “তবুও তিনি রাজা নিযুক্ত হয়ে ফিরে আসলেন এবং যে দশজন দাসকে টাকা দিয়েছিলেন তাদের ডেকে আনতে আদেশ দিলেন। তিনি জানতে চাইলেন ব্যবসা করে তারা কে কত লাভ করেছে।
16. প্রথম জন এসে বলল, ‘প্রভু, আপনার টাকা দিয়ে আমি দশগুণ লাভ করেছি।’
17. “রাজা তাকে বললেন, ‘বেশ করেছ। তুমি ভাল দাস। তুমি সামান্য বিষয়ে বিশ্বস্ত হয়েছ বলে আমি তোমাকে দশটা গ্রামের ভার দিলাম।’
18. “দ্বিতীয় দাসটি এসে বলল, ‘প্রভু, আপনার টাকা দিয়ে আমি পাঁচগুণ লাভ করেছি।’
19. “তিনি সেই দাসকে বললেন, ‘তুমি পাঁচটা গ্রামের ভার পাবে।’
20. “তার পরে অন্য আর একজন দাস এসে বলল, ‘প্রভু, আমি আপনার টাকা রুমালে বেঁধে রেখে দিয়েছিলাম।
21. আপনার সম্বন্ধে আমার ভয় ছিল কারণ আপনি খুব কড়া লোক; আপনি যা জমা করেন নি তা নিয়ে থাকেন এবং যা বোনেন নি তা কাটেন।’
22. “তখন রাজা বললেন, ‘ওরে দুষ্ট দাস! তোর মুখের কথা দিয়েই আমি তোর বিচার করব। তুই তো জানতিস্ যে, আমি কড়া লোক; যা জমা করি নি তা নিয়ে থাকি এবং যা বুনি নি তা কাটি।
23. তবে আমার টাকা তুই মহাজনের কাছে রাখলি না কেন? তাহলে তো আমি এসে টাকাটাও পেতাম এবং সংগে কিছু সুদও পেতাম।’