20. কয়েকজন ফরীশী যীশুকে জিজ্ঞাসা করলেন কবে ঈশ্বরের রাজ্য আসবে। উত্তরে যীশু বললেন, “ঈশ্বরের রাজ্য আসবার সময় কোন চিহ্ন দেখা যায় না।
21. কেউই বলবে না, “দেখ, ‘ঈশ্বরের রাজ্য এখানে,’ বা ‘দেখ, ঈশ্বরের রাজ্য ওখানে,’ কারণ আপনাদের মধ্যেই তো ঈশ্বরের রাজ্য আছে।”
22. এর পরে তিনি তাঁর শিষ্যদের বললেন, “এমন দিন আসছে যখন তোমরা চাইবে যেন মনুষ্যপুত্রের সময়কার একটা দিন তোমরা দেখতে পাও, কিন্তু তা দেখতে পাবে না।
23. লোকে তোমাদের বলবে, ‘ওখানে দেখ,’ বা ‘এখানে দেখ।’ বাইরে যেয়ো না বা তাদের পিছনে দৌড়িও না।
24. বিদ্যুৎ চমকালে যেমন আকাশের একদিক থেকে অন্যদিক পর্যন্ত আলো হয়ে যায়, মনুষ্যপুত্রের আসা সেইভাবে হবে।
25. কিন্তু প্রথমে তাঁকে অনেক দুঃখ-কষ্ট ভোগ করতে হবে। তা ছাড়া এই কালের লোকেরা তাঁকে অগ্রাহ্য করবে।
26. “নোহের সময়ে যেমন হয়েছিল মনুষ্যপুত্রের সময়েও তেমনি হবে।
27. যে পর্যন্ত না নোহ জাহাজে উঠলেন এবং বন্যা এসে লোকদের সবাইকে ধ্বংস করল সেই পর্যন্ত লোকেরা খাওয়া-দাওয়া করছিল, বিয়ে করছিল ও বিয়ে দিচ্ছিল।
28. আবার লোটের সময়ে যেমন হয়েছিল তেমনি হবে। সেই সময়ে লোকে খাওয়া-দাওয়া, বেচা-কেনা, চাষ-বাস এবং ঘর-বাড়ী তৈরী করছিল।
29. কিন্তু যেদিন লোট সদোম ছেড়ে আসলেন সেই দিন স্বর্গ থেকে আগুন ও গন্ধকের বৃষ্টি পড়ে লোকদের সবাইকে ধ্বংস করল।
30. যেদিন মনুষ্যপুত্র প্রকাশিত হবেন সেই দিন এই রকমই হবে।
31. “সেই দিন ছাদের উপরে যে থাকবে সে ঘর থেকে জিনিসপত্র নেবার জন্য নীচে না নামুক। তেমনি করে ক্ষেতের মধ্যে যে থাকবে সে ফিরে না আসুক।
32. লোটের স্ত্রীর কথা মনে করে দেখ।
33. যে কেউ তার জীবন রক্ষা করতে চেষ্টা করে সে তার সত্যিকারের জীবন হারাবে, আর যে কেউ তার প্রাণ হারায় সে তার সত্যিকারের জীবন রক্ষা করবে।
34. আমি তোমাদের বলছি, সেই রাতে এক বিছানায় দু’জন থাকবে; একজনকে নেওয়া হবে আর অন্যজনকে ফেলে যাওয়া হবে।
35-36. তখন দু’জন স্ত্রীলোক একসংগে জাঁতা ঘুরাবে; একজনকে নেওয়া হবে আর অন্যজনকে ফেলে যাওয়া হবে।”
37. শিষ্যেরা বললেন, “প্রভু, কোথায়?”উত্তরে যীশু বললেন, “মৃতদেহ যেখানে থাকে সেখানেই তো শকুন এসে জড়ো হয়।”