11. যিরূশালেমে যাবার পথে যীশু শমরিয়া ও গালীলের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন।
12-13. তখন একটা গ্রামে ঢুকবার সময় তিনি দশজন চর্মরোগীকে দেখতে পেলেন। তারা দূরে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলল, “যীশু, প্রভু, আমাদের দয়া করুন।”
14. সেই রোগীদের দেখে যীশু বললেন, “পুরোহিতদের কাছে গিয়ে নিজেদের দেখাও।”তারা পথে যেতে যেতেই সুস্থ হয়ে গেল।
15-16. তাদের মধ্যে একজন যখন দেখল সে ভাল হয়ে গেছে তখন সে চিৎকার করে ঈশ্বরের গৌরব করতে করতে ফিরে আসল এবং যীশুর পায়ের কাছে উবুড় হয়ে পড়ে তাঁকে ধন্যবাদ দিল। সে ছিল শমরিয়া প্রদেশের লোক।
17. তখন যীশু বললেন, “দশজনকে কি সুস্থ করা হয় নি? তবে বাকী ন’জন কোথায়?
18. ঈশ্বরের গৌরব করবার জন্য এই বিদেশী লোকটি ছাড়া আর কেউ কি ফিরে আসল না?”
19. তারপর যীশু লোকটিকে বললেন, “উঠে চলে যাও। বিশ্বাস করেছ বলে তুমি ভাল হয়েছ।”
20. কয়েকজন ফরীশী যীশুকে জিজ্ঞাসা করলেন কবে ঈশ্বরের রাজ্য আসবে। উত্তরে যীশু বললেন, “ঈশ্বরের রাজ্য আসবার সময় কোন চিহ্ন দেখা যায় না।
21. কেউই বলবে না, “দেখ, ‘ঈশ্বরের রাজ্য এখানে,’ বা ‘দেখ, ঈশ্বরের রাজ্য ওখানে,’ কারণ আপনাদের মধ্যেই তো ঈশ্বরের রাজ্য আছে।”
22. এর পরে তিনি তাঁর শিষ্যদের বললেন, “এমন দিন আসছে যখন তোমরা চাইবে যেন মনুষ্যপুত্রের সময়কার একটা দিন তোমরা দেখতে পাও, কিন্তু তা দেখতে পাবে না।
23. লোকে তোমাদের বলবে, ‘ওখানে দেখ,’ বা ‘এখানে দেখ।’ বাইরে যেয়ো না বা তাদের পিছনে দৌড়িও না।
24. বিদ্যুৎ চমকালে যেমন আকাশের একদিক থেকে অন্যদিক পর্যন্ত আলো হয়ে যায়, মনুষ্যপুত্রের আসা সেইভাবে হবে।
25. কিন্তু প্রথমে তাঁকে অনেক দুঃখ-কষ্ট ভোগ করতে হবে। তা ছাড়া এই কালের লোকেরা তাঁকে অগ্রাহ্য করবে।
26. “নোহের সময়ে যেমন হয়েছিল মনুষ্যপুত্রের সময়েও তেমনি হবে।
27. যে পর্যন্ত না নোহ জাহাজে উঠলেন এবং বন্যা এসে লোকদের সবাইকে ধ্বংস করল সেই পর্যন্ত লোকেরা খাওয়া-দাওয়া করছিল, বিয়ে করছিল ও বিয়ে দিচ্ছিল।
28. আবার লোটের সময়ে যেমন হয়েছিল তেমনি হবে। সেই সময়ে লোকে খাওয়া-দাওয়া, বেচা-কেনা, চাষ-বাস এবং ঘর-বাড়ী তৈরী করছিল।
29. কিন্তু যেদিন লোট সদোম ছেড়ে আসলেন সেই দিন স্বর্গ থেকে আগুন ও গন্ধকের বৃষ্টি পড়ে লোকদের সবাইকে ধ্বংস করল।
30. যেদিন মনুষ্যপুত্র প্রকাশিত হবেন সেই দিন এই রকমই হবে।