19. আর একজন বলল, ‘আমি পাঁচ জোড়া বলদ কিনেছি, সেগুলো পরীক্ষা করতে যাচ্ছি। দয়া করে আমাকে ক্ষমা কর।’
20. অন্য আর একজন বলল, ‘আমি বিয়ে করেছি, এইজন্য যেতে পারছি না।’
21. “সেই দাস ফিরে গিয়ে তার মনিবকে এই সব কথা জানাল। তাতে বাড়ীর কর্তা রাগ করে তাঁর দাসকে বললেন, ‘তুমি তাড়াতাড়ি শহরের রাস্তায় রাস্তায় ও গলিতে গলিতে যাও এবং গরীব, নুলা, অন্ধ ও খোঁড়াদের এখানে নিয়ে এস।’
22. এই সব করবার পরে সেই দাস বলল, ‘হুজুর, আপনার আদেশ মতই সব করা হয়েছে, কিন্তু এখনও জায়গা আছে।’
23. এতে কর্তা দাসকে বললেন, ‘শহরের বাইরে রাস্তায় রাস্তায় ও পথে পথে যাও এবং এখানে আসবার জন্য লোকদের জোর কর, যেন আমার বাড়ী ভরে যায়।
24. আমি তোমাদের বলছি, যাদের নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল তাদের কেউই আমার এই ভোজ খেতে পাবে না।’ ”
25. যীশুর সংগে সংগে অনেক লোক যাচ্ছিল। যীশু সেই লোকদের দিকে ফিরে বললেন,
26. “যে আমার কাছে আসবে সে যেন নিজের বাপ-মা, স্ত্রী ও ছেলেমেয়ে, ভাই-বোন, এমন কি, নিজেকে পর্যন্ত আমার চেয়ে কম প্রিয় মনে করে। তা না হলে সে আমার শিষ্য হতে পারে না।
27. যে লোক নিজের ক্রুশ বয়ে নিয়ে আমার পিছনে না আসে সে আমার শিষ্য হতে পারে না।
28. “আপনাদের মধ্যে যদি কেউ একটা উঁচু ঘর তৈরী করতে চায় তবে সে আগে বসে খরচের হিসাব করে। সে দেখতে চায়, ওটা শেষ করবার জন্য তার যথেষ্ট টাকা আছে কি না।
29. তা না হলে সে ভিত্তি গাঁথবার পরে যদি সেই উঁচু ঘরটা শেষ করতে না পারে, তবে যারা সেটা দেখবে তারা সবাই তাকে ঠাট্টা করবে।
30. তারা বলবে, ‘লোকটা গাঁথতে আরম্ভ করেছিল কিন্তু শেষ করতে পারল না।’
31. “যদি একজন রাজা অন্য আর একজন রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যান তবে তিনি প্রথমে বসে চিন্তা করবেন, ‘বিশ হাজার সৈন্য নিয়ে যিনি আমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আসছেন, মাত্র দশ হাজার সৈন্য নিয়ে আমি তাঁকে বাধা দিতে পারব কি?’
32. যদি তিনি তা না পারেন তবে সেই অন্য রাজা দূরে থাকতেই লোক পাঠিয়ে তিনি তাঁর সংগে সন্ধির কথা আলাপ করবেন।”