22. এর পর যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, “এইজন্যই আমি তোমাদের বলছি, কি খাবে বলে বেঁচে থাকবার বিষয়ে কিম্বা কি পরবে বলে দেহের বিষয়ে চিন্তিত হোয়ো না।
23. প্রাণটা কেবল খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপার নয়, আর দেহটা কেবল কাপড়-চোপড়ের ব্যাপার নয়।
24. কাকগুলোর দিকে চেয়ে দেখ, তারা বীজও বোনে না ফসলও কাটে না। তাদের গুদাম-ঘর বা গোলাঘরও নেই, তবুও ঈশ্বর তাদের খাইয়ে থাকেন। তোমরা এই পাখীদের চেয়ে আরও বেশী মূল্যবান।
25. তোমাদের মধ্যে কে চিন্তা-ভাবনা করে নিজের আয়ু এক ঘণ্টা বাড়াতে পারে?
26. তা হলে এই সামান্য কাজটাও যদি তোমরা করতে না পার তবে অন্যান্য বিষয়ের জন্য কেন চিন্তা কর?
27. “ভেবে দেখ, ফুল কেমন করে বেড়ে ওঠে। তারা পরিশ্রমও করে না সুতাও কাটে না। কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, শলোমন রাজা এত জাঁকজমকের মধ্যে থেকেও এগুলোর একটারও মত নিজেকে সাজাতে পারেন নি।
28. মাঠে যে ঘাস আজ আছে আর কাল চুলায় ফেলে দেওয়া হবে, ঈশ্বর তা যখন এইভাবে সাজান তখন ওহে অল্প-বিশ্বাসীরা, তিনি যে তোমাদের সাজাবেন তা কত না নিশ্চয়!
29. কি খাওয়া-দাওয়া করবে ভেবে ব্যস্ত হয়ো না বা অস্থির হয়ো না।
30. এই জগতের অন্যান্য জাতিরা ঐ সব বিষয় নিয়ে ব্যস্ত হয়; এছাড়া তোমাদের পিতা তো জানেন যে, তোমাদের এগুলোর দরকার আছে।
31. তার চেয়ে বরং ঈশ্বরের রাজ্যের বিষয়ে ব্যস্ত হও, তা হলে এগুলোও তোমরা পাবে।