3. আমার ভাইদের বদলে, অর্থাৎ যারা আমার জাতির লোক তাদের বদলে যদি সম্ভব হত তবে আমি নিজেই খ্রীষ্টের কাছ থেকে দূর হয়ে যাবার অভিশাপ গ্রহণ করতাম।
4. তারা তো ইস্রায়েল জাতির লোক। ঈশ্বর তাদের পুত্রের অধিকার দিয়েছেন, নিজের মহিমা দেখিয়েছেন, তাদের জন্য ব্যবস্থা স্থাপন করেছেন, আইন-কানুন দিয়েছেন, তাঁর সেবা ও উপাসনার উপায় করেছেন এবং অনেক প্রতিজ্ঞাও করেছেন।
5. ঈশ্বরের মহান ভক্তেরা ছিলেন তাদেরই পূর্বপুরুষ এবং মানুষ হিসাবে মশীহ তাদেরই বংশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনিই ঈশ্বর, যিনি সব কিছুরই উপরে; সমস্ত গৌরব চিরকাল তাঁরই। আমেন।
6. ঈশ্বরের বাক্য যে মিথ্যা হয়ে গেছে তা নয়, কারণ যারা ইস্রায়েল জাতির মধ্যে জন্মেছে তারা সবাই সত্যিকারের ইস্রায়েল নয়।
7. অব্রাহামের বংশের বলেই যে তারা তাঁর সত্যিকারের সন্তান তা নয়, বরং পবিত্র শাস্ত্রের কথামত, “ইস্হাকের বংশকেই তোমার বংশ বলে ধরা হবে।”
8. এর অর্থ হল, ইস্রায়েল জাতির মধ্যে জন্ম হয়েছে বলেই কেউ যে ঈশ্বরের সন্তান তা নয়, কিন্তু ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞা মত যাদের জন্ম হয়েছে তাদেরই অব্রাহামের বংশের বলে ধরা হবে।
9. সেই প্রতিজ্ঞা এই-“ঠিক সময়ে আমি ফিরে আসব এবং সারার একটি ছেলে হবে।”
10. কেবল তা-ই নয়, রিবিকার যমজ ছেলেরা একই পুরুষের সন্তান ছিল।
13. আর তাই পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে, “যাকোবকে আমি ভালবেসেছি, কিন্তু এষৌকে অগ্রাহ্য করেছি।”
14. তাহলে আমরা কি বলব ঈশ্বর অন্যায় করেন? মোটেই না। তিনি মোশিকে বলেছিলেন,
15. “আমার যাকে ইচ্ছা তাকে দয়া করব, যাকে ইচ্ছা তাকে করুণা করব।”
16. এটা তাহলে কারও চেষ্টা বা ইচ্ছার উপর নির্ভর করে না, ঈশ্বরের দয়ার উপরেই নির্ভর করে।
17. পবিত্র শাস্ত্রে ঈশ্বর ফরৌণকে এই কথা বলেছিলেন, “আমি তোমাকে রাজা করেছি যেন তোমার প্রতি আমার ব্যবহারের মধ্য দিয়ে আমার শক্তি দেখাতে পারি এবং সমস্ত পৃথিবীতে যেন আমার নাম প্রচারিত হয়।”
18. তাহলে দেখা যায়, ঈশ্বর নিজের ইচ্ছামত কাউকে দয়া করেন এবং কারও অন্তর কঠিন করেন।
19. হয়তো তোমাদের মধ্যে কেউ আমাকে জিজ্ঞাসা করবে, “তবে ঈশ্বর মানুষের দোষ ধরেন কেন? কেউ কি ঈশ্বরের উদ্দেশ্যকে বাধা দিতে পারে?”
20. তার উত্তরে আমি বলব যে, তুমি মানুষ; ঈশ্বরের কথার উপর কথা বলবার তুমি কে? কোন লোক যদি একটা জিনিস তৈরী করে তবে সেই তৈরী করা জিনিসটা কি তাকে জিজ্ঞাসা করতে পারে, “কেন আমাকে এই রকম তৈরী করলে?”